একথা মাথায় রেখে ২৯টি শ্রম আইনকে এখন কেবলমাত্র চারটি সাধারণ শ্রম বিধিতে পরিবর্তন করা হয়েছে
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গী মতো নমনীয় কর্মক্ষেত্র, বাড়ি থেকে কাজের ইকো সিস্টেম নিয়ে ‘অমৃত কাল’এ কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক ২০৪৭এ লক্ষ্যপথ তৈরি করছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শ্রম মন্ত্রীদের জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন নমনীয় কর্মক্ষেত্র, বাড়ি থেকে কাজের ইকো সিস্টেম, নমনীয় কাজের সময়। মহিলা শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের দিকে তাকিয়ে নমনীয় কর্মক্ষেত্রকে আমরা সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।”
সেই মতো পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক নমনীয় কর্মক্ষেত্র, বাড়ি থেকে কাজের ইকো সিস্টেম এবং নমনীয় কাজের সময়ের ওপরে জোর দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে শ্রমিকদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী শ্রম-যোগী মন্থন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা’র মতো বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এই সমস্ত প্রকল্পগুলির ফলে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মধ্যে একটা আস্থাভাব তৈরি হয়েছে যে দেশ তাদের কঠোর শ্রমকে অনুরূপ মর্যাদা দেয়।
এছাড়াও ‘জরুরি ঋণ সীমা নিশ্চয়তা প্রকল্প’ লক্ষাধিক ছোট শিল্পকে সাহায্য করেছে। একটা সমীক্ষা অনুযায়ী মহামারীর সময়কালে প্রায় দেড় কোটি শ্রমিকের কাজকে বাঁচিয়েছে এই প্রকল্প। করোনার সময়ে ইপিএফও কর্মচারীদের প্রভূত সাহায্য লেগেছে কারন কয়েক হাজার কোটি টাকা অগ্রিম তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। বন্ধুগণ, শ্রমিকদের প্রয়োজনে দেশ যেমন তাদেরকে সাহায্য করেছে আমরা দেখছি যে সেই একইভাবে এই মহামারীকে কাটিয়ে উঠতে শ্রমিকরাও তাদের সর্বতো শক্তিকে ব্যবহার করেছে। আজ ভারত পুনরায় বিশ্বে দ্রুততম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে এবং বহুলাংশে এই সাফল্য শ্রমিকদের প্রাপ্য।
আরও একটা মাইল ফলক হল কেবলমাত্র এক বছরের মধ্যে ৪০০টি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২৮ কোটি শ্রমিক তাদের নাম ই-শ্রম পোর্টালে নথিভুক্ত করেছে। এর দ্বারা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছেন নির্মাণ শ্রমিকরা, পরিযায়ী শ্রমিকরা এবং গার্হস্থ শ্রমিকরা। এরা এখন সার্বজনীন অ্যাকাউন্ট নাম্বারের মতো সুবিধাগুলির সুযোগ পাচ্ছেন। ই-শ্রম পোর্টালকে জাতীয় কর্মজীবন সেবা, অসীম পোর্টাল এবং উদ্যম পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে যাতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়ানো যায়।
গত ৮ বছরে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক দাসত্বের সময়কালে দাস সুলভ মানসিকতার আইনকে বর্জন করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। দেশ এখন বদলাচ্ছে। শ্রম আইনের সংস্কার এবং সরলীকরণ করা হচ্ছে। একথা মাথায় রেখে ২৯টি শ্রম আইনকে এখন কেবলমাত্র চারটি সাধারণ শ্রম বিধিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। এইভাবে আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা ন্যূনতম মজুরি, কাজের সুরক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো বিষয়গুলিতে আরও বেশি সক্ষমতা অর্জন করতে পারছেন। আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকের সংজ্ঞা নতুন শ্রম বিধিতে সরলীকরণ করা হয়েছে। আমাদের পরিযায়ী শ্রমিক ভাই-বোনেরা এখন ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্পে অনেক উপকৃত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন