এনআরসির জন্য ১৩ লক্ষ বাঙ্গালী হিন্দুর নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে
শিলচর : এনআরসি নিয়ে মামলা আদালতে উঠছে। যে এনআরসির জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ একটা সময় উৎকণ্টার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। অনেকে চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন। এনআরসির জন্য ১৩ লক্ষ বাঙ্গালী হিন্দুর নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ২৭ লক্ষ লোক আধার কার্ড থেকে বঞ্চিত। সেই এনআরসি আসলেই একটা অশ্ব ডিম্ব ছাড়া কিছু নয়। সেটা সরকারের অবস্থান থেকে স্পষ্ট।
রাজ্য সরকারের ক্যাগে রিপোর্টে পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া হয়েছে এনআরসি তে ১৫৫ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে শুধুমাত্র সফটওয়্যার ইনস্টলেশন নিয়ে। এছাড়া আছে কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত জালিয়াতি। ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এনআরসির জন্য। এই সব কিছুর জন্য প্রাক্তন এনআরসি কো অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আদালতে। কিন্তু একজন আধিকারিক কিভাবে এত বড় একটা কেলেঙ্কারি করার সাহস পেয়ে গেলেন সেটাই হলো বড় কথা। এত লোকের কষ্টের বিনিময়ে যে এনআরসি তৈরি হলো সেটা আসলে কোন কাজে এলো না।
এই যে লক্ষ লক্ষ মানুষ যন্ত্রনার শিকার হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে। একটা মানবতাহীন প্রক্রিয়া হলো এনআরসি। যারা এটার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না। আদালতে মামলা উঠলেও সেটা কবে শেষ হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। হাজেলা চাকরি থেকে অবসর নেবেন ।তার তেমন কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু আসামের লক্ষ লক্ষ মানুষ এনআরসির যন্ত্রণা নিয়ে আগামী দিনগুলো কাটাবেন।