প্রতিটি সরকারই দেখেছি নিজেদের মধ্যে প্রচুর বিরোধ থাকলেও ইসরো বা এই ধরনের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠা গুলিতে অর্থ বরাদ্দে কোন কার্পণ্য করা হয়নি
শিলচর : চন্দ্রযান তিন সফল হওয়া আমাদের বিজ্ঞানীদের জন্য একটা বিরাট সাফল্য। তবে আমার যেটা সবচাইতে ভালো লাগছে সেটা হল বিজ্ঞান সাধনার উন্নতির জন্য ভারতের কোন সরকার রাজনীতির ধার ধারেনি। জহরলাল নেহেরু উদ্যোগে ইসরো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিক্রম সারাভাই। ১৯৬২ সালে। এরপর দেশে বিভিন্ন সরকার এসেছে কংগ্রেস সরকার যুক্তফ্রন্ট সরকার বাজপেয়ীর বিজেপি সরকার আবার কংগ্রেস আবার বিজেপি সরকার।
কিন্তু প্রতিটি সরকারই দেখেছি নিজেদের মধ্যে প্রচুর বিরোধ থাকলেও ইসরো বা এই ধরনের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠা গুলিতে অর্থ বরাদ্দে কোন কার্পণ্য করা হয়নি। এমনকি নেহেরুর স্থাপিত ভারতবর্ষের বিখ্যাত আইআইটি ও আইআইএমগুলিতেও একইভাবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বজায় থাকেছে। যেকোনো একটা আধুনিক রাষ্ট্রের জন্য এটাই কাম্য। কারণ এগুলো বিষয়ে রাজনীতি চলে না।
আজকে এই যে চন্দ্রযানের সাফল্য এসেছে এটা এসেছে আমাদের দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সবসময় ইসরোকে সহায়তা করে গেছেন। জহরলাল নেহেরু থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদী একই ধারা বজায় থাকছে। তাই আমি এই সাফল্যের জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুকে যেরকম ধন্যবাদ জানাবো ঠিক সেভাবে ধন্যবাদ জানাবো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এখানে কোন রাজনীতি নয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমাদের দেশ উন্নতি করেছে এই কারণে যে এই জায়গাটাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আজকে আমেরিকার সিলিকন ভ্যালির সংখ্যা গরিষ্ঠ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ ভারতের। দেশের সেরা সব কোম্পানির ৩০ শতাংশ সিইও ভারতীয়। গুগল মাইক্রোসফট আইবিএম থেকে শুরু করে পৃথিবীর সেরা তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলির প্রধানের মাথায় বসে আছেন ভারতীয়রা। এই ঐতিহ্য আমরা দীর্ঘ কয়েক দশকে অর্জন করেছি এটাকে বজায় রাখতে হবে।
পাকিস্তানের একজন প্রাক্তন জেনারেল একবার একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন , আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে প্রথমেই আমি ব্যাঙ্গালোরের ওপর আক্রমণ চালাতাম।কারন ভারতীয়দের যাবতীয় ক্ষমতার উৎস হলো এই ব্যাঙ্গালোরের আইটি হাব।
তাই বন্ধুরা আজকের দিনটিতে আমি অন্ততপক্ষে এই বিষয়ে আমাদের দেশের প্রতিটি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। অন্তত এই একটি ক্ষেত্রে তারা সংকীর্ণ রাজনীতি করেন নি। আশা রাখবো এই ধারা অব্যাহত থাকবে।