বিভিন্ন পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে সংবিধানের ৩৭১ ধারা মতে উপজাতিদের জন্য বিশেষ অধিকার আইনে অন্য জনগোষ্ঠীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন
সংবিধানে দুর্বল শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণের একটা সংস্থান করে রাখা হয়ছিল। যাতে প্রতিযোগিতার বাজারে তারা কিছুটা সুবিধা পেতে পারেন। সংবিধান প্রণেতা ডঃ বি আর আম্বেদকর বলেছিলেন ১০ বছরের জন্য এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে। যাতে যারা পিছিয়ে পড়েছে তাদের একটা সুবিধা দিয়ে সমাজের উচ্চস্তরে নিয়ে আসা যায়। কিন্তু দশ বছর পেরিয়ে গেছে বারবার সংবিধান সংশোধন করে এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আর সংরক্ষণের কোটাও বাড়ানো হয়েছে।
একই সঙ্গে দেখা গেছে যে বিভিন্ন পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে সংবিধানের ৩৭১ ধারা মতে উপজাতিদের জন্য বিশেষ অধিকার আইনে অন্য জনগোষ্ঠীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ন। এতে তারা ভাবছেন ,আমরা কেন জমি কেনা বেচার অধিকার থেকে বঞ্চিত হব। মেঘালয় মিজোরাম মনিপুর এসব রাজ্যে অউপজাতি লোকেরা জমিজমা কিনতে পারবেন না। চাকরিতে কোন সংরক্ষণও পাবেন না।এই ব্যবস্থার মাধ্যমে উপজাতিদের অস্তিত্ব সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা যায় এমন একটা যুক্তি দেওয়া হয়।
কিন্তু একটা প্রশ্ন অনেকেই করেছেন কতকাল এভাবে সংরক্ষণ দিয়ে রাখা হবে। মনিপুরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পর এই প্রশ্নটা আরো বেশি করে সামনে আসছে। ভবিষ্যতে আসামে বা বরাক উপত্যকায়ও এ ধরনের দাবি যে উঠবে না ,তারও কিন্তু নিশ্চয়তা নেই। ইতিমধ্যে অসম চুক্তির ছয় নম্বর ধারা লাগু করার জন্য নানাভাবে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই সংবিধানের এই ধারা নিয়ে অনেক কিছুই ভাবার রয়েছে। কিন্তু কোন সরকারই জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে এ কাজ করতে চায় না। আর এটাই আমাদের দেশে বিড়ম্বনা।