কঠিন আইন প্রয়োগ করে এবং ফাস্ট ট্রেক কোর্টে বিচারের মাধ্যমে এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব
শিলচর : একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলছে। এক একেকটি মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন হিন্দু ধর্ষিত হচ্ছে। বা চা বাগানের মেয়ে ধর্ষিত। রায় ধর্ষিত হচ্ছে ।দাস ধর্ষিত হচ্ছে। ধর্ষিতার জাতটাই বড়। আর যদি ধর্ষক যদি কোন অন্য কোন ধর্মের হয়ে যায়। তাহলে সেটা বিরাট ক্রাইম। অবশ্যই ক্রাইম। কিন্তু যদি সধর্মে হয়ে যায় তাহলে কি সেটা বড় ক্রাইম হয় না। চা বাগানের মেয়ে ধর্ষন হওয়ার প্রতিটি চা বাগানে মিছিল বের হল।এবার বাঙালি হিন্দু মেয়ে ধর্ষণ হল তাহলে কি শুধু বাঙালি এলাকাতেই মিছিল বের হবে। চা বাগানে বের হবে না। প্রশ্ন আরো আছে।
আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে একটা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। শিলচর মহিলা কলেজের একটি ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিল চারজন।ধর্ষকরা গ্রেফতার হয়েছিল তারা স্বীকারও করেছিল তারা ধর্ষণ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের শাস্তি হয় নি। যাবতীয় প্রমাণ স্বীকারোক্তি থাকার পরও তারা শাস্তি পায় নি। এই যে শাস্তি না পাওয়া এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে যায় সমাজে। যারা ধর্ষণ করে তারা ভাবে এটা করলে তো খুব একটা কঠোর সাজা হয় না। আর এই মানসিকতা দিয়ে ধর্ষনকে আটকান যাচ্ছে না। তাই আইনি বিধানগুলো বদলানো দরকার।
কিন্তু এখন যেভাবে ঘটনাগুলো ঘটছে দেখানো হচ্ছে বিধর্মী কেউ করলেই সেটা অপরাধ। আর সধর্মে কেউ করলে সেটা তেমন অপরাধ নয়। ধর্ষণ একটা জগন্য অমানবিক অপরাধ। এটার সঙ্গে ধর্ম জাতির কোন সম্পর্ক নেই। এই সত্যটা বুঝতে হবে। কঠিন আইন প্রয়োগ করে এবং ফাস্ট ট্রেক কোর্টে বিচারের মাধ্যমে এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এ সব বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধুমাত্র সম্প্রদায়ের ভিত্তিক অপরাধগুলোকে বিচার করলে চলবে না। প্রতিটি ধর্ষণ ঘৃণ্য অপরাধ। এটাই ভেবে নিতে হবে।