এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া থেকে তেরো লক্ষ বাঙালি হিন্দুর নাম বাদ গেছে, ডি ভোটার নোটিশ এখনো বাঙ্গালীদের পাঠানো হচ্ছে
শিলচর : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা কা প্রয়োগ করার দাবি জানিয়ে আন্দোলনের নেমেছে সারা আসাম বাঙালি পরিষদ। বিভিন্ন স্থানে ধর্ণা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। নাগরিকত্ব আইন ২০১৯ সালে পাস হয়েছে। এই আইনে রাষ্ট্রপতির সীলমোহর পড়েছে। গেজেট নোটিফিকেশনও হয়ে গেছে।তারপরে প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে।এখন পর্যন্ত এই আইনের কোন রুলস তৈরি করা হয়নি। যার ফলে ছিন্নমূল বাঙালিরা এই আইনের কোন সুবিধা পাচ্ছেন না।
বাঙ্গালীদের নির্যাতিত হওয়া আটকানো যাচ্ছে না।এই আইন প্রয়োগের দাবিতে সারা আসাম জুড়ে আন্দোলন করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সারা অসম বাঙালি পরিষদ। এই সংস্থার সভাপতি ডা,: শান্তনু সান্যাল ও কার্যকারী সভাপতি হেমাঙ্গ শেখর দাস বলেছেন এই আইন প্রয়োগ করা হলে বাঙালিরা অনেক নির্যাতন থেকে রেহাই পাবেন।
সম্প্রতি সারা আসাম বাঙ্গালী পরিষদের কার্যকারী কমিটির গঠন করা হয়েছে এই কমিটির সভাপতি হয়েছেন ডা : শান্তনু সান্যাল ও কার্যকারী সভাপতি হয়েছেন হেমাঙ্গ শেখর দাস। প্রাক্তন বিধায়ক ভাষিক সংখ্যালঘু বোর্ডের চেয়ারম্যান শিলাদিত্য দেব এই কমিটির প্রধান উপদেষ্টা। অসমে বসবাসকারী বাঙালি সমাজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এই সংগঠনের জন্ম। বিজেপিরই একাংশ বাঙালি নেতা এই সংস্থাটি গঠন করেছেন।
উদ্দেশ্য বাঙ্গালীদের সমস্যার দিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করা। শিলাদিত্য দেব জানান ,অসমে বিজেপি সব চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বাঙালি সম্প্রদায়ের। ৪৫ লক্ষ বাঙালি হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে গেছে। যা অন্য জাতি গোষ্ঠীর চাইতে বেশি। কিন্তু দেখা গেছে বাঙ্গালিদের অনেক সমস্যা এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া থেকে তেরো লক্ষ বাঙালি হিন্দুর নাম বাদ গেছে। ডি ভোটার নোটিশ এখনো বাঙ্গালীদের পাঠানো হচ্ছে।। ডিটেনশন ক্যাম্পে যারা বন্দী হচ্ছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ বাঙালি। দেখা যাচ্ছে বাঙালিদের উপরে নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। এছাড়া কয়েক লক্ষ বাঙালির আধার কার্ড আটকে রয়েছে।
তাই বাঙ্গালিদের সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে এই সংস্থার মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন স্থানে নাগরিকত্ব আইন রূপায়ণের দাবিতে ধর্না কর্মসূচি চলছে। হেমাঙ্গ শেখর দাস জানান এসব কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরব। এই মুহূর্তে বাঙালিরা নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। গ্রামে গঞ্জে ডিভোটার নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে সরকারের কাছে আর্জি জানানো হবে। কারণ বাঙালি হিন্দুরা প্রথম থেকেই বিজেপিকে ভোট দিয়ে আসছে ন।
বাঙালি হিন্দুদের ভোট না পেলে বিজেপির কোন অবস্থায় ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাঙ্গালীদের এসব সমস্যা নিয়ে জনগনের তাদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। তাই এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান তারা সরকারের কাছে চাইবে ন। এই উদ্দেশ্যে সারা রাজ্য জুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান হেমাঙ্গ শেখর দাস।