কোন সমাধান সূত্র বের করতে সরকার ও আন্দোলনকারী কোন পক্ষেই এগিয়ে আসছে না এটাই দুঃখের বিষয়
শিলচর : প্রিপেড মিটারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য শিলচরের নাগরিক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের আন্দোলন কতটুকু সফল হবে সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। এছাড়া গত কদিন আগে বিদ্যুৎ প্রিপেইডের বিরুদ্ধে যে মিছিল হয়েছিল সেটাকে যেভাবে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেছে তাতে এটা ধরেই নেওয়া যায় আন্দোলন যাতে না হয় তার জন্য সচেষ্ট থাকবে প্রশাসন।
প্রিপেইড মিটার চালুর ক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি হলো, অনেকেই বিল মিটিয়ে দেন না যার জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয় বিদ্যুৎ কোম্পানি। তাই এই সমস্যা থেকে উত্তরণের একটাই উপায়য প্রিপেইড মিটার চালু করা। আর সেটাই করা হয়েছে। সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে আন্দোলনকারীদের দাবি হলো প্রিপেইড মিটারে যা বিল আসে বা যত টাকা দিতে হয় সেটা আগে যেটা দেওয়া হতো তার প্রায় দ্বিগুণ বা আরো বেশি।
এটা সত্য যে প্রিপেইড মিটার নিয়ে কিন্তু মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ । কিন্তু বিষয়টা কোন সমাধান সূত্র বের করতে সরকার ও আন্দোলনকারী কোন পক্ষেই এগিয়ে আসছে না এটাই দুঃখের বিষয়। প্রিপেইড মিটারে কোন খুঁত আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখাও সরকারের কর্তব্য। কিন্তু একটা মধ্যপন্থা অবলম্বন করে একটা সূত্র বের করার আগ্রহ সরকারের পক্ষ থেকেও দেখা যাচ্ছে না। যার ফলে বিষয়টা নিয়ে একটা আন্দোলন মুখী পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সরকার এ বিষয়ে কি কি অসুবিধা হচ্ছে সেটা সরেজমিনের খতিয়ে দেখে একটা সিদ্ধান্ত নিক এটাই কাম্য।