তাহলে ১৫ বছর পরে আসাম থেকে কমপক্ষে দশটি বিধানসভা আসন কেটে উত্তর প্রদেশ বিহারে দিতে হবে
শিলচর : এখন বরাকের উপত্যকার জনসংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মুসলমান। তাই দুটি আসন না কাটলেই নয়। এমন যুক্তি দেখানো হচ্ছে । আরো দুটি আসন কেটে বড়ল্যান্ডে দেওয়া হয়েছে।আবার সারা আসামে মুসলমানদের জনসংখ্যা ৩৭ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রীর ভবিষ্যৎবাণীর মতে আগামী ১৫ বছরের এটা ৫০% দাঁড়াবে।
তাহলে ১৫ বছর পরে আসাম থেকে কমপক্ষে দশটি বিধানসভা আসন কেটে উত্তর প্রদেশ বিহারে দিতে হবে। যেভাবে বরাক থেকে বড়ল্যান্ডে দেওয়া হয়েছে ।না হলে হিন্দুরা জিততে পারবে বেশিরভাগ আসনে।এটা কি মানবেন অসমের নেতৃ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা। অথবা একটি লোকসভা আসন আসন থেকে কেটে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল। অথবা মহারাষ্ট্রে জুড়ে দেওয়া হল। অসমের কেউ মানবেন না।
আর না মানাই স্বাভাবিক। কারন এতে জাতীয় রাজনীতিতে অসমের প্রভাব খর্ব হবে।তাহলে বরাক উপত্যকার মানুষ কেন মানবেন? কিন্তু মানাতে বাধ্য করা হচ্ছে। দুটি আসন কমায় অসমের রাজনীতিতে ব রাকের প্রাধান্য যেমন খর্ব হবে ঠিক সেভাবে অসম থেকে কয়েকটি বিধানসভা আসন কাটায় বা লোকসভার একটি আসন কাটলেও অসমের প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে খর্ব হবে। এটা যে কোন আসামের মানুষ মানবেন না ।ঠিক সেভাবে বরাকের মানুষও মানবেন না। অতএব ব রাক থেকে দুটি আসন কমানো চলবে না।