এটা যদি সত্য হয় তাহলে বরাক উপত্যকার জন্য একটা দুশ্চিন্তার বিষয়
মনিপুরে হিংসা প্রশমিত হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এর প্রভাব বরাক উপত্যকায় এসে পড়ছে। বিষয়টাকে নিছক একটি জাতি দাঙ্গা হিসাবে দেখলে হবে না। দক্ষিণ এশিয়া থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন নানা কারণে। এদের অনেকেই ভারত ও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এই বাস্তূচ্যূতদের মধ্যে অনেক কুকিও রয়েছে। এদের একটা বড় অংশ মনিপুরে আশ্রয় নিয়েছেন। এই অভিযোগ মনিপুরের বিভিন্ন মৈতৈ সংগঠন করে আসছে। তাদের অভিযোগ মনিপুরের পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর সংখ্যক কুকি অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন।আর যে দাঙ্গা হয়েছে এর পেছনে এদের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
তাই এই অভিযোগটা খতিয়ে দেখা কেন্দ্রীয় সরকারের খুবই প্রয়োজন। এটা যদি সত্য হয় তাহলে বরাক উপত্যকার জন্য একটা দুশ্চিন্তার বিষয়। মিজোরামে দেখা যায় অনেক মায়ানমারের নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে। সেই সূত্রে বরাকে যে নিচ্ছে না তার বা গ্যারান্টি কোথায়। মনিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। এরপর এই বিষয়টাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে কারণ এর সঙ্গে মনিপুর শুধু নয় বরাক উপত্যকার স্বার্থ জড়িত আছে।