বোঝাই যাচ্ছে দৃষ্টিটা ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন-শিলাদিত্য
শিলচর : শিলাদিত্য দেব অসমের বাঙ্গালীদের স্বার্থে কথা বলতে এসেছেন ,না মুসলমানদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে এসেছেন !মুসলমানের বিরোধিতা করার জন্য যদি তিনি এখানে এসে থাকেন তাহলে অনেক সংগঠন ছিল যেগুলোর পক্ষ হয়ে তিনি বক্তব্য রাখতে পারতেন। সে ক্ষেত্রে আমার বলার কিছু ছিল না।
কিন্তু তিনি বাঙালি সংগঠনের পক্ষ এসেছেন তখন মূল সমস্যাকে এড়িয়ে মুসলমান বিরোধী বক্তব্য রাখছেন এটাই আমার আপত্তি। বোঝাই যাচ্ছে দৃষ্টিটা ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন ।কারন প্রথমত অসমে এনআরসি ডি ভোটার, ডিটেনশন ক্যাম্প আধার কার্ড, অবৈধ বিদেশি নাগরিক ,৬ নম্বর ধারা নিয়ে সমস্যা, ৫১ না একাত্তর ভিত্তি বর্ষ হবে এসমস্ত সমস্যাগুলো মুসলমানরা তৈরি করেনি। আর এই সমস্যার জন্য সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাঙালি হিন্দুরা।
অথচ তিনি এখানে এসে বারবার মুসলমানদের প্রসঙ্গ আনছেন। ইতিহাস না জানা শিলাদিত্যের জানা উচিত বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা এদেশে এসেছে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভাষিক আগ্রাসনের শিকার হয়ে নয়। বরং এখানে এসে ভাষিক আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে ।বরাকের রাজনীতি বাঙালি হিন্দুদের হাতে নেই একথা তার মুখ থেকে শুনতে হবে না। তোমরা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় প্রায় ৫০ লক্ষ বাঙালি হিন্দু কি ঘন্টা করেছ? তাই এখানে এসে জ্ঞান দেবে না বরাকে বাঙালি হিন্দুরা বরাবরই বাঙালি মুসলমান হিন্দিবাসী ও অন্য জাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্ষমতার ভাগাভাগি করে চলে এসেছে ।
আগামীতেও এই ধারা চলবে। ক্ষমতা নেই একটা বার প্রশ্ন করার ডি ভোটার নোটিশ কেন আসছে। ১৩ লক্ষ বাঙালি হিন্দু কেন এনআরসি যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছে। ২০ লক্ষ বাঙালি হিন্দুর আঁধার কার্ড নেই। ৪৭ হাজার সরকারি চাকরির মধ্যে ৫০০ টি চাকরিও বাঙালি হিন্দুরা পায়নি। এসব প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আপনি শুধু মুসলমান মুসলমান করছেন।
আরেকটি কথা তিনি এখানে বলেছেন বরাকের বাঙ্গালীরা এমন কোন মন্তব্য না করে যাতে গোটা আসাম জুড়ে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আপনার জেনে রাখা উচিত ব রাক থেকে কেউ এ ধরনের মন্তব্য করেনি। বরং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে প্রতিনিয়ত বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্য করা হচ্ছে। তখন তো দেখি আপনার মুখ থেকে একটা শব্দ বের হয় না। আপনি মনে রাখবেন বরাকের বাঙালিরা অনেক সংযত, অন্তত পক্ষে আপনার কাছ থেকে কোন উপদেশ নিতে হবে না।
আর বাঙ্গালী সমাবেশ করার কথা বলছেন ।একবার তো আপনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন পেরেছিলেন কি। তাই এখানে এসে বাজার গরম করার চেষ্টা করবেন না।আর কিছু চাটুকার বাঙ্গালীদের নিয়ে হয়তো একটা সমাবেশ করলে করতেও পারেন। এতে আপনার প্রভুর হাত কিছুটা শক্ত হবে। বাঙালি হিন্দুর কোন লাভ হবে না। বরং ক্ষতি বেশিই করবে ন।