কোনও পরিচালক যদি কোনও দেশবরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবন, চরিত্র এবং অন্তিম পরিণতিকে বিকৃত করার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে দেশবাসীর অধিকার আছে তা খতিয়ে দেখার
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামী’ নিয়ে পাঁচদফা প্রশ্ন করল অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এড ফোরাম। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, কোনও পরিচালক যদি কোনও দেশবরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবন, চরিত্র এবং অন্তিম পরিণতিকে বিকৃত করার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে দেশবাসীর অধিকার আছে সেই চলচ্চিত্র যাতে কোনওভাবে জনগণের ভাবাবেগকে আঘাত না করে তা দেখার।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখোপাধ্যায় শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সঠিক তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং চলচ্চিত্রের সঠিক নামকরণ করে দেশবাসিকে সঠিক তথ্য পরিবেশনের জন্য জাতীয় সেন্সরবোর্ডকে উদ্যোগী হতে হবে। গুমনামীবাবা নেতাজী কি না, তা খতিয়ে দেখতে ইলাহাবাদে উত্তরপ্রদেশ সরকার এক প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে সম্প্রতি একটি কমিশন তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই ‘সহায় কমিশন’ কোনও স্পষ্ট মতামত জানায়নি।
যে পাঁচ প্রশ্ন তিনি তুলে ধরেছেন সেগুলো হল ১) আপনি কিভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছোলেন যে গুমনামীবাবাই নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন? ২) মুখার্জি কমিশনের কোনও জায়গাতেই গুমনামীবাবাকে নেতাজী বলে বর্ণনা না করা সত্বেও কেন পরিচালকের এমন মনে হল? ৩) এই ছবিতে চলচ্চিত্রে নেতাজীর মৃত্যু এবং তাঁর শেষজীবন নিয়ে তিনটি অনুমান দেখানো হলেও কেন পরিচালক তাঁর শেষ অনুমান অনুযায়ী গুমনামীবাবাকে নেতাজী বলে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলেন? ৪) কেন ছবির নাম গুমনামী? নেতাজী-বিষয়ক অন্য নামও তো হতে পারত। ৫) কেন পরিচালক দাবি করছেন, তিনি জাস্টিস মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ছবিটি তৈরি করেছেন?