শ্রী রাধারমণ মন্দিরে হরিয়ালি তীজের সন্ধ্যায় হেমার নাচে মুগ্ধ নেটিজেনরা
বয়স সত্তর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও তাঁর নাচ যে আপার জনতার মনে ঝড় তুলতে পারে, সেটা ভালমতোই বুঝিয়ে দিলেন ভারতীয় সিনেমার ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী। বৃন্দাবনের শ্রী রাধারমণ মন্দিরে হরিয়ালি তীজের সন্ধ্যায় ঝুলন উৎসব উপলক্ষ্যে ধর্মেন্দ্র জায়া নাচলেন রাধা রূপে। পরনে ছিল গোলাপি-সবুজ শাড়ি, সঙ্গে মানানসই গয়না ও মেক আপ। পায়ে এক জোড়া মল। মথুরার বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী হেমা মালিনীর রাধা রূপের নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঝড় বয়েছে প্রশংসার।
প্রতিবছর বৃন্দাবনে শ্রাবণ মাসে এই হরিয়ালি তীজ উৎসব পালন করা হয়। এ বছর এই উৎসব শুরু হয়েছে শনিবার। অনুষ্ঠান শুরুর আগের দিন যে বিশেষ উৎসব হয়, সেখানেই পারফর্ম করেছেন হেমা মালিনী। হরিয়ালি কথার অর্থ সবুজ। বর্ষার জলে চারদিক সবুজ ফসলে ছেয়ে যায়, এই ধারণা থেকেই এই উৎসবের উৎপত্তি। মূলত ভগবান শিব ও পার্বতীর মিলন উদ্যাপন করা হয় হরিয়ালি উৎসবে। সাধারণত হরিয়ানা, রাজস্থান ও পঞ্জাবেই এই উৎসবের প্রচলন বেশি।
সব ধরণের নাচে পারদর্শী হলেও ভারতনাট্যমে তিনি বিশেষ পারদর্শী হেমা। তামিলনাড়ুর সংস্কৃতির বাহক ভারতনাট্যমের পোশাকেই এদিন নাচের আসরে আবির্ভূত হন তিনি। অবশ্য নাচের মধ্যেই আরেকবার পোশাক বদল করে দ্বিতীয়বার শাড়ির জায়গায় গোলাপি লেহেঙ্গাতে দেখা দেন ‘ড্রিম গার্ল’। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই নৃত্যভঙ্গিমা, চোখের মুদ্রায় উপস্থিত ভক্তদের মুগ্ধ করলেন তিনি।
নাচের শেষে হেমা মালিনী বলেন, ‘হরিয়ালি তীজ উপলক্ষ্যে কৃষ্ণের মন্দিরে নাচতে পেরে আমি নিজেকে সম্মানিত মেন করছি। প্রথম নাচের সময় আমি কৃষ্ণের অপেক্ষায় থাকা রাধার অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করছিলাম। দ্বিতীয়বার আমি কৃষ্ণের সাধনায় মগ্ন থাকা মীরার অনুভূতি প্রকাশের চেষ্টা করেছি।”
নাচের শেষে মন্দির কমিটির তরফে বিজেপি সাংসদকে একটি শাড়ি ও বাঁশি দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সেগুলি নেওয়ার পর হেমা মালিনী বলেন, ‘এই বাঁশিকে আমি আমার বাড়িতে থাকা কৃষ্ণের মূর্তির সঙ্গেই রাখব।’
উল্লেখ্য, এই উৎসব চলাকালীন মহিলারা হাতে মেহেন্দি করেন, নতুন পোশাক পরেন। তারপর নাচে-গানে পালিত হয় এই উৎসব। সেইসঙ্গে ক্ষীর, মালপোয়া, হালুয়া প্রভৃতিও তৈরি করা হয়। এ বার হরিয়ালি উৎসবের সঙ্গে ঝুলন উৎসব পড়ায় সেলিব্রেশনও দ্বিগুণ। আর সেই উৎসবের আমেজ শুরুতেই বাড়িয়ে দিল হেমা মালিনীর অপূর্ব নৃত্যশৈলী।