একদা যে গ্রিকরা বহাল তবিয়তেই ছিল কলকাতায়, তার প্রমাণ মেলে। মূলত ষোড়শ শতাব্দী থেকেই গ্রিসের মানুষ বাসা বাঁধতে থাকে বঙ্গ উপকূলে।
বিলুপ্তির পথে হলেও একদা যে গ্রিকরা বহাল তবিয়তেই ছিল কলকাতায়, তার প্রমাণ মেলে। মূলত ষোড়শ শতাব্দী থেকেই গ্রিসের মানুষ বাসা বাঁধতে থাকে বঙ্গ উপকূলে। গ্রিসে তখন অটোমান সাম্রাজ্য হুঙ্কার ছাড়ছে। ব্যবসাকে পুঁজি করেই উঠতি কলকাতা শহরের সঙ্গেও একটা সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে।
সপ্তদশ শতকের শেষে হেডি এলেক্সিয়াস আরগিরি (কোথাও কোথাও নামান্তর দেখা যায়) নামের এক গ্রিক ভদ্রলোক বাণিজ্যে দোভাষী হিসেবে কাজ করবে বলে এদেশে আসে। আরগিরির ইচ্ছানুসারে কলকাতার আমড়াতলা স্ট্রিটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় গ্রিক চার্চের। সাল ১৭৭৮। ঠিক এর আগের বছরই মৃত্যু হয় আরগিরির, ৫ই অগাস্ট ১৭৭৭-এ, ঢাকায়। কিন্তু তাঁর সমাধি রয়েছে কলকাতার একমাত্র গ্রিক গোরস্তানে। ডক্স চার্চ-সংযোগ সম্ভবত শুধু বাংলায় মিলবে।
থিয়ো এঞ্জেলোপুলোসের ছবি দেখেননি মানে খাঁটি সিনেমাপ্রেমী নন। এমন একটা কথা চালু আছে শহরের ছবি বোদ্ধা মহলে। এই গ্রিকদের সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে গিয়েছে বঙ্গ-সংস্কৃতি। এই প্রথম কলকাতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রিক চলচ্চিত্র উৎসব। এ বার গ্রিক পরিচালকদের ছবি দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে ‘ফোরাম ফর ফিল্ম স্টাডিজ এন্ড এন্ড আর্টস’। সঙ্গী ভারতের দূতাবাস। দিল্লির ইন্ডো-হেলেনিক ফ্রেন্ডশিপ লিগ ও সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, সংক্ষেপে এসআরএসটিআই।
এ বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সবাই হৈ হৈ করে দেখেছেন কোস্তা গাভ্রাসের ছবি। এর বাইরে আছেন বহু নবীন-প্রবীন গ্রিক পরিচালক— পানোস কার কানেভাতোস থেকে ইয়ানিক সাকারদিস বা বহু আলোচিত ইয়ারগস ল্যান্থিমস। আজ সোমবার থেকে ইন্সটিট্যুটের মূল প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে ছবি। চলবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। আজ ইন্দো-গ্রিক বন্ধুতার প্রতিনিধি প্রতিনিধি আফ্রদিতে কৃষ্ণমূর্তি স্মরণে নিবেদিত ফোরামের এই প্রথম কলকাতায় গ্রিক চলচ্চিত্র উৎসব।