অঙ্গ প্রতিস্থাপনে গতি আনতে পথ খোঁজা জরুরি, মত বিশেষজ্ঞদের

< 1 - মিনিট |

অঙ্গ প্রতিস্থাপনে পশ্চিমবঙ্গের কৌলিন্য বজায় রাখতে বিভিন্ন মহলের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিপুল খরচের সংস্থান হবে কি করে? প্রতিস্থাপনের জন্য সরকারি সম্মতি প্রক্রিয়ায় (ডিক্লারেশন) গতি আনা যায় কী করে? বিষয়গুলো নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের কর্তাব্যক্তিরা এক আলোচনায় বসেন।

অঙ্গ প্রতিস্থাপনে পশ্চিমবঙ্গের কৌলিন্য বজায় রাখতে বিভিন্ন মহলের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা। সোমবার কলকাতায় ‘বেঙ্গল হ্যাজ দি হার্ট টু ডোনেট অর্গানস’ শীর্ষক আলোচনায় উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক তাপস রায়চৌধুরী। তাঁর নানা প্রশ্নের খেই ধরেই এগোয় সমস্যগুলো কোথায়, সমাধানের পথ কী প্রভৃতি আলোচনা।

মস্তিষ্কের মৃত্যু নিয়ে ‘ডিক্লারেশন’-এ দীর্ঘসূত্রিতা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অন্যতম বড় বাধা বলে এ দিন মন্তব্য করেন চিকিৎসক-শল্যবিদদের একাংশ। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় কুমার চক্রবর্তী বলেন, “শহরের যে সব অঞ্চলের রাস্তায় বেশি দুর্ঘটনা ঘটে, সেই সব অঞ্চল বা সংলগ্ন হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসকদের ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষণার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সব হাসপাতালে এ ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখা হবে।“

অঙ্গ প্রতিস্থাপনে গতি আনার প্রতিবন্ধকতাগুলো কী? মুস্কিল আসানের পথ কোথায়? আলোচনার রেশ ধরে রাজ্যের মেডিক্যাল এডুকেশনের অধিকর্তা (ডিএমই) প্রদীপ মিত্র বলেন, “আমরা সম্প্রতি নানা সময়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। স্টেট লেভেল অর্গান ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন (‘স্লোটো’)-র মাধ্যমে মুস্কিল আসানের চেষ্টা করছি।”

কয়েক মাস আগে অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল একটি নামী হাসপাতাল। রাজ্যের কাউকে না দিয়ে কেন ভিনরাজ্যের বাসিন্দাকে অঙ্গ দেওয়া হল? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শোকজ করে রিজিওনাল অর্গান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন (‘রোটো’)। শিলিগুড়ির মল্লিকা মজুমদারের ব্রেন ডেথের পর তার লিভার প্রতিস্থাপন নিয়ে এই বিতর্ক হয়।

স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারি অর্পিতা রায়চৌধুরী বলেন, “অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিপুল ব্যয়ের সামাল দিতে ‘রোটো’ খরচের একটা অংশ বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তা একেবারে হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে যে ভাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কনসোর্টিয়াম (জেটিসিসি) তৈরি হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গেও তা তৈরি করা দরকার।

এ দিন অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় ছিলেন চেন্নাইয়ের প্রতিস্থাপন বালকৃষ্ণন, মৃণালেন্দু দাস, প্লাবন মুখোপাধ্যায়, ক্রিটিক্যাল কেয়ার সোসাইটি অফ কলকাতার চেয়ারম্যান বিশেষজ্ঞ সৌরভ কোলে, তমাল কান্তি ঘোষ প্রমুখ প্রতিষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ

চিকিৎসকেরা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news