আজ বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস,এক নজরে দেখে নিন করোনাকালে সুস্থ থাকতে কী কী সতর্কতা মেনে চলবেন?

2 - মিনিট |

Safe Food Today For a Healthy Tomorrow অর্থাৎ আজ নিরাপদ খাবার খেলে কাল সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।এটাই এই বছরের বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের থিম।

KRC Times Desk

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) খাদ্যজনিত রোগের বোঝা হ্রাস করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসাবে ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সঞ্চয়, বিতরণ, প্রস্তুতি এবং গ্রহনের  প্রতিটি পর্যায়েই খাদ্য নিরাপদ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে রয়েছে বিভিন্ন নীতি নির্দেশ। আমাদের গ্রহণ করা প্রত্যেকটি খাদ্য যাহাতে নিরাপদ এবং  স্বাস্থ্যসম্মত হয় সে বিষয়ে তৃণমূল স্থরে সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

নিরাপদ খাবার খাওয়া প্রতি প্রত্যেকের জন্যই একান্ত জরুরি। কারণ, দূষিত খাবার বা জলের মাধ্যমে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী বা রাসায়নিক পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে। ফলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে। সেই মর্মে গ্লোবাল ফুড স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে সহমত হয়ে, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এমন একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে, যা সাধারণ মানুষ ঘরে ঘরে অনুশীলন করতে পারেন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করে সুস্থ থাকতে পারেন।

এই বছরের বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের থিম হল Safe food today for a healthy tomorrow

খাদ্য বস্তুকে ভেজালমুক্ত ও স্বাস্থ্য সম্মত রাখতে খাদ্য উৎপাদক থেকে শুরু করে মজুতদার, বিতরক ,সরকার সবারই দ্বায়িত্ব ও ভুমিকা রয়েছে। বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের মাধ্যমে, WHO খাদ্য সুরক্ষা মূলধারার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যজনিত রোগের বোঝা হ্রাস করার জন্য তার প্রচেষ্টা চালায়। সমস্ত মানুষের নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবারের অধিকার রয়েছে।

বর্তমান  কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে  খাদ্যের সাথে কভিডের সরাসরি কোনো  সম্পর্ক রয়েছে বলে  কোন প্রমাণ নেই, তবে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে CDC পরামর্শগুলি হলঃ-

*খাওয়ার আগে ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান এবং জল দিয়ে আপনার হাত ধোয়া জরুরি। *স্টোরেজ বা প্যাকেজিংয়ের সময় খাবারের পণ্যগুলিকে দূষণের থেকে দূরে রাখা উচিত।

*খাদ্যবস্তু পরিস্কার রাখা

*কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা।

*পরিস্কার জল ও কাঁচা সবজি ব্যবহার করা।

*বাজার থেকে কিনে আনা ফল এবং শাকসব্জী ধুয়ে পরিষ্কার জায়গায় শুকিয়ে নেওয়া।

*রান্নার পরে রান্না করা পাত্র শুধু সাবান জলেই নয়, বরং তা ধোয়ার সময় গরম জল ব্যবহার  করা।

*কার্টন সমেত ডিম কিনলে সেখান থেকে ডিমগুলি সরিয়ে আলাদা জায়গা রাখবেন।

*মাছ, মাংস অথবা অন্য কোন খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে তা রান্না করার আগে  সাধারণ তাপমাত্রায় আসতে দেওয়া।

*৩২ ডিগ্রির উপর তাপমাত্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খাবার রান্না করা।

*যতটা সম্ভব বেশি করে সবুজ শাক সব্জী গ্রহন।

*স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত শাক সব্জী ও ফলমূলকে প্রাধান্যতা দেওয়া… …… ইত্যাদি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *