ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিভিন্ন পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতির জন্য ন্যাশনাল বোর্ড অফ অ্যাক্রিডিটিশনের (এনবিএ) ছাড়পত্র দরকার বলে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) বারবার নির্দেশিকা জারি করছে
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিভিন্ন পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতির জন্য ন্যাশনাল বোর্ড অফ অ্যাক্রিডিটিশনের (এনবিএ) ছাড়পত্র দরকার বলে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) বারবার নির্দেশিকা জারি করছে। তারজন্য এবার কলেজগুলিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল খোদ কাউন্সিলই।
পাঠ্যক্রমের স্বীকৃতি পেতে কী করতে হবে, কী করে কলেজগুলি প্রস্তুতি নেবে, তার জন্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগাতে চায় এআইসিটিই। এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাউন্সিল জানিয়েছে, এই কাজের জন্য অবসরপ্রাপ্তরা আবেদন করতে পারবেন। এই কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেরকমই শিক্ষকদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বর্তমানে মাত্র ১৬ শতাংশ ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমের ‘এনএবি’-এর স্বীকৃতি আছে। এই স্বীকৃতি ২০২২ সালের মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কাউন্সিল। তাই মেন্টর নিয়োগ করে এই প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে চাইছে কাউন্সিল।এনআইটি, আইআইটি’র অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এই কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাছাই করা শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানগুলির মেন্টর হিসেবে কাজ করবেন। ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে কী করে কোর্সের স্বীকৃতি পাওয়া যাবে, তার জন্য আবেদনের কী পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে সাহায্য করবেন মেন্টররা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক তরুণ নস্কর হিন্দুস্থান সমাচার’-কে বলেন, “ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে যে যে বিষয় পড়ানো হয় তার জন্য এআইসিটিই-র অ্যাক্রেডিটেশন লাগে। এআইসিটিই দেখে কোনও বিশেষ বিষয়ের পঠন-পাঠনের জন্য এআইসিটিই নির্ধারিত পরিকাঠামো ওই কলেজের আছে কিনা। এ ব্যবস্থা নতুন নয়। এআইসিটিই জন্মের পর থেকেই তা চালু আছে। তার জন্য এমন মেন্টরের দরকার এতদিন হয়নি। হঠাৎ এখন হল কেন তা পরিষ্কার নয়। একদিকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারের চাকরির অভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নতুন কোর্স চালু করার জন্য মেন্টরের ব্যবস্থা করা। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলো যাতে আর বন্ধ না হয় এটা তার জন্য ব্যবস্থা।”
উল্লেখ করা যেতে পারে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এনবিএ-র তকমা রূপায়ণ নিয়েও সমস্যা চলছে। কয়েক মাস আগে এই প্রতিষ্ঠানে এনবিএ-র নামে বোর্ড অফ স্টাডিজের (বিওএস) সিলেবাস তৈরির বিধিবদ্ধ ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলকে দিয়ে সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি তৈরি করা হয়। এতে বিওএস-র স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগে ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের একাংশ সরব হয়।
এ বিষয়ে আলোচনা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের সভায়। শিক্ষক সংগঠন ‘আবুটা’-র দীর্ঘ আন্দোলনের চাপে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের সভায় উপাচার্য বিওএস-র সিলেবাস তৈরির স্বাধিকারের স্বীকৃতি দেন।