পাঁচ রাজ্যে ৪.৮ লক্ষ মৃত্যুর খবর রয়েছে যার কোনও ব্যাখ্যা নেই।
করোনায় মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যান বরাবরই ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। একমাত্র হাসপাতালে মৃত্যুর রেকর্ড থাকে এই পরিসংখ্যানে। বাড়িতে, এমনকী হাসপাতালের পার্কিং লটে যদি কারও কোভিডে মৃত্যু হয় তা নথিভুক্ত করা হয় না।
স্বাভাবিকভাবেই সরকারি পরিসংখ্যান এবং সত্যিকারের মৃত্যুসংখ্যায় বিস্তর ফারাক হয়ে যায়। এই ফারাক মেটাতে সুপ্রিম কোর্টে এফিডেভিট দিয়ে কেন্দ্র জানাল, এবার থেকে কোভিডে মৃত্যু যেখানেই হোক তার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক এবং দিল্লিতে গত কয়েকমাসে সরকারি পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই পাঁচটি রাজ্যে ৪.৮ লক্ষ মৃত্যুর খবর রয়েছে যার কোনও ব্যাখ্যা নেই। বিহারে গত পাঁচ মাসে অজানা কারণে ৭৫০০০ মৃত্যুর রিপোর্ট পাওয়া গেছে যা রাজ্যের কোভিড পরিসংখ্যানের ১০ গুণ।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র সরকারের তরফে ১৮৩ পাতার এফিডেভিট পেশ করা হয়। তাতেই বলা হয়েছে, এবার থেকে সব কোভিড মৃত্যুকেই হিসেবের মধ্যে নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনও চিকিৎসক গাফিলতি বা কারচুপি করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৮৩ পাতার এফিডেভিটে আবার চিকিৎসকদের হেনস্থা হলে দোষীদের এফআইআর করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।