নানা বয়সের লোক ক্রমেই কম্পিউটার-নির্ভর হয়ে পড়ছেন। মঙ্গলবার চিকিৎসক সমর সেনগুপ্ত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এ কারণে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রম’ বাড়ছে
সচেতনতার অভাবে বহু মানুষ দৃষ্টি হারাচ্ছেন। চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোয় বাড়ছে গ্লুকোমার পীড়া-সহ রোগীদের ভিড়। এই অবস্থায় চোখের যত্ন নিতে সতর্ক থাকার আবেদন করলেন চিকিৎসকরা।
নানা বয়সের লোক ক্রমেই কম্পিউটার-নির্ভর হয়ে পড়ছেন। মঙ্গলবার চিকিৎসক সমর সেনগুপ্ত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এ কারণে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রম’ বাড়ছে। ছোট পর্দায় দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকলে চোখের পাতা কম পড়ে। চোখ শুকিয়ে যায়। কিছুক্ষণ সময় (মিনিট কুড়ি) অন্তর একটু বিরতি নিয়ে উঠে আসা দরকার। প্রয়োজনে চোখে ড্রপ দিয়ে অক্ষিগোলক ভিজিয়ে নিতে পারেন কেউ।”
সমরবাবু এবং আশার অগ্রবাল- দুই চিকিৎসক বলেন, খুশকি পড়ে অনেক সময় চোখের ক্ষতি হয়। এ কারণে মাথার চুল পরিস্কার রাখা আবশ্যিক। বাচ্চাদের আঞ্জনি হলে চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করানো দরকার। প্রত্যেকের উচিত সকালে চোখে জলের ছিঁটে দেওয়া, চশমা থাকলে তা নিয়মিত ব্যাবহার করা, চোখের কোনও সমস্যা বোধ করলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। আগুনের কাছে না যাওয়া, বিপজ্জনক কোনও দ্রব্য বা রাসায়নিক যাথে কোনওভাবে চোখে না পড়ে— সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। সাবধানতা নিতে হবে দেওয়ালি-হোলিতে। চিকিৎসকরা বলেন, গ্লুকোমা হলে রোগী বুঝতে পারেন না। চল্লিশোর্ধ প্রত্যেকের উচিত বছরে একবার চোখ পরীক্ষা করানো। সে রকম ক্ষেত্রে পারিবারিক অসুস্থতা, রোগীর উচ্চ রক্তের চাপ, মধুমেহর মাত্রা প্রভৃতি খতিয়ে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অবকাশ থাকে।
সোনারপুরের লীলা বিশ্বাস বছর পনেরো আগে ডান চোখের দৃষ্টি হারান। বছর তিন ধরে তাঁর বাঁ চোখেও সমস্যা দেখা দেয়। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার একটি চক্ষু হসপিটালে তাঁর এই চোখে এমন এক পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার হয়েছে, যেটি অভিনব বলে দাবি করেন ডাঃ আশার অগ্রবাল। গ্লুকোমার চিকিৎসায় এই পদ্ধতির নিরাপদ ও সফল প্রয়োগের বিষয়টি বড় পর্দায় বিস্তৃতভাবে বোঝানো হয়। চিকিৎসকদের দাবি, এই পদ্ধতি চক্ষুগোলককে ঠিক করে থেওয়ার পক্ষে একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। চোখের অ্যাঙ্গেল ক্লোজার গ্লুকোমা, ফটোফোবিয়া, অপটিক ক্যাপচার, ট্রমাটিক মাইড্রিয়াসিস প্রভৃতি রোগ দূর করতেও এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ কার্যকরী।