ছাত্রের উপস্থিতির হার কম, ২০টি বিদ্যালয় বন্ধ করে বেসরকারি সংস্থাকে পরিচালনার দায়িত্ব দেবে রাজ্য

2 - মিনিট |

ত্রিপুরায় ৪,৩৯৮টি সরকার পরিচালিত এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয় রয়েছে৷ তার মধ্যে ছাত্রের উপস্থিতি নেই এমন ১৩টি বিদ্যালয় ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া, আরও ১৪৭টি এমন বিদ্যালয় রয়েছে যেগুলোতে ছাত্রের উপস্থিতির হার ০.১০

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

ছাত্রসংখ্যার উপস্থিতি কম থাকার কারণে ২০টি বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা৷ ওই বিদ্যালয়গুলি বেসরকারf সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হবে৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ-কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ তাঁর কথায়, শিক্ষার মানোন্নয়নে ছাত্রসংখ্যার উপস্থিতি কম এমন বিদ্যালয়গুলি বেসরকারি সংস্থাকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ৷
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ৪,৩৯৮টি সরকার পরিচালিত এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয় রয়েছে৷ তার মধ্যে ছাত্রের উপস্থিতি নেই এমন ১৩টি বিদ্যালয় ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া, আরও ১৪৭টি এমন বিদ্যালয় রয়েছে যেগুলোতে ছাত্রের উপস্থিতির হার ০.১০৷ তাঁর বক্তব্য, ওই বিদ্যালয়গুলি পরিচালনায় রাজ্যের কোষাগার থেকে অহেতুক অর্থ খরচ হচ্ছে৷ তাই, এ-ধরনের কয়েকটি বিদ্যালয় বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা ৷
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ইন্ডিয়া ট্রাইবেল কেয়ার ট্রাস্ট ত্রিপুরায় ৬টি বিদ্যালয় পরিচালনা করছে৷ অমরপুর, মনুবনকুল, আনন্দবাজার, উত্তর ত্রিপুরার সাতনালা, বামুটিয়ার শ্রীকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট এবং করমছড়ায় লিটল্ ফ্লাওয়ার্স ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ওই সংস্থাটি পরিচালনা করছে৷ তাঁর কথায়, ওই সংস্থা ত্রিপুরা সরকারের কাছে ৫৩টি বিদ্যালয় পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু, আপাতত তাদের ২০টি বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে৷
তিনি বলেন, পশ্চিম জেলায় ৭টি, গোমতি জেলায় ১টি, খোয়াই জেলায় ২টি, সিপাহিজলা জেলায় ৩টি ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৭টি বিদ্যালয় রয়েছে৷ এই ২০টি বিদ্যালয়ের দায়িত্ব ইন্ডিয়া ট্রাইবেল কেয়ার ট্রাস্ট সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে৷ পাঁচ বছরের জন্য শর্ত সাপেক্ষে ২০টি বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব সংস্থাটির হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, শর্তগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা অন্তত ৩০ জন হতে হবে৷ বিদ্যালয়গুলিকে অবশ্যই সিবিএসই অথবা আইসিএসই-র অনুমোদন নিতে হবে৷ তাছাড়া, বিদ্যালয়গুলির পঠন-পাঠনের মিডিয়াম হতে হবে ইংরেজি৷ তিনি বলেন, সংস্থাটিকে শিক্ষার অধিকার আইনকে অবশ্যই মানতে হবে এবং শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এনসিটিই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে৷ সাথে তাদের এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম অনুসরণ করতে হবে৷ 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করবে এবং মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করবে৷ তবে, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ফি সংগ্রহের বিষয়টি রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে স্থির করতে হবে৷ এক্ষেত্রে, সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কোনও ফি নিতে পারবে না৷ তাঁর কথায়, এই সব বিষয়গুলি নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে রাজ্য সরকারের শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে৷ তবে, বিদ্যালয় পরিচালনা সন্তোষজনক না হলে ৪৫ দিনের নোটিশ দিয়ে রাজ্য সরকার চুক্তি বাতিল করতে পারবে৷ একইভাবে, সংস্থাটিও ৪৫ দিনের নোটিশ দিয়ে চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবে৷ আজ শিক্ষামন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও বিদ্যালয় এভাবেই বেসরকারি সংস্থাকে হস্তান্তর করা হবে৷ রাজ্যে গুণগত শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি৷ 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news