জয়েন্টে ভর্তি-প্রক্রিয়া এগিয়ে আনতে চায় ‘মাকাউট’

2 - মিনিট |

এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন এক লক্ষ ১৩ হাজার ৯১২ জন পড়ুয়া। তবে পরীক্ষা দেন ৮০,৯৭৯ জন। র‌্যাঙ্ক পেয়েছেন ৮০,৫৮০ জন। সাফল্যের হার ৯৯.৫ শতাংশ

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভর্তির প্রক্রিয়া আগামী বছর থেকে আরও এগিয়ে আনতে চায় মৌলনা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (মাকাউট)। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৭০টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দেখভালের দায়িত্বে আছে এই প্রতিষ্ঠান। 

এ বছর লোকসভা ভোটের জন্য এই ভর্তির প্রক্রিয়া এ রাজ্যে পিছিয়ে গিয়েছে। ‘মাকাউট’-এর উপাচার্য সৈকত মিত্র বলেন, “নির্বাচন তো করতেই হবে। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দিন এগিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।“ সূত্রের খবর, জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।  শিবপুর আইআইইএসটি-র প্রাক্তন অধিকর্তা  তথা একাধিক প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠানের পরামর্শদাতা অজয় কুমার রায় বলেন, “অন্যান্য রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভর্তির প্রক্রিয়া এ রাজ্যের তুলনায় আগে হয়ে যাচ্ছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আগ্রহী অনেকে বাইরে চলে যাচ্ছেন। রাজ্যের ছেলেমেয়েদের রাজ্যে পড়ার সুযোগ একটা অধিকারও। এটা মনে রাখতে হবে।”  
এদিকে, জয়েন্টের মেধা-তালিকায় উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড পিছিয়ে পড়ছে বলে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।  কেন? উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিক ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা খুব কাছাকাছি সময়ে হয়। দু’টি পরীক্ষার প্রস্তুতি চালাতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেন। বেশির ভাগ মেধাবী পড়ুয়াই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা-তালিকায় স্থান পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ‘‘তাই অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী হয়তো জয়েন্ট এন্ট্রান্সের জন্য সে-ভাবে প্রস্তুতি চালাতে পারেন না। অন্যান্য বোর্ডের ছেলেমেয়েরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য মোটা টাকা খরচ করে আলাদা ভাবে টিউশন নেন। আলাদা প্রস্তুতি চালান,’’ বলেন মহুয়াদেবী।  এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন এক লক্ষ ১৩ হাজার ৯১২ জন পড়ুয়া। তবে পরীক্ষা দেন ৮০,৯৭৯ জন। র‌্যাঙ্ক পেয়েছেন ৮০,৫৮০ জন। সাফল্যের হার ৯৯.৫ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের ৪৮,৪২০ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সফল ৪১,৬৪৫ জন। আইএসসি বোর্ড থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৫২১৪ জন। উত্তীর্ণের সংখ্যা ৩৯৩০। সিবিএসই বোর্ডের ৩৫,৫৭৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ২০,৪৭১ জন। অন্যান্য বোর্ড থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২৪,৭০৩ জন। পাশ করেছেন ১৪,৫৩৪ জন।  জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধা-তালিকায় উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের মাত্র এক জন স্থান পেয়েছেন। এই বোর্ড পাশের সংখ্যার বিচারে অন্য বোর্ডকে টেক্কা দেওয়ায়  খুশি মহুয়া দাস। তিনি বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতিতেই আমাদের ছেলেমেয়েরা জয়েন্ট পাশ করে যাচ্ছেন। এটা খুব ভাল দিক।’’ 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *