সাবেকিয়ানা ও সাধারণ ভাবনার থেকে একটু বাইরে বেরিয়ে পরিবেশ দিবসে বেহালার ‘মাদাম কুরী সায়েন্স সোসাইটি’ এবং ‘কিউরিয়াস মাইন্ড’এর খুদে পড়ুয়ারা পথে নেমে মানুষকে সচেতন করে যে পার্থেনিয়াম নামে আগাছার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কী ভাবে পরিবেশ কে মুক্ত রাখা যায়
বেহালার ‘মাদাম কুরী সায়েন্স সোসাইটি’ এবং ‘কিউরিয়াস মাইন্ড’এর খুদে পড়ুয়ারা পথে নামে। সাবেকিয়ানা ও সাধারণ ভাবনার থেকে একটু বাইরে বেরিয়ে পরিবেশ দিবসে তাঁরা মানুষকে সচেতন করে যে পার্থেনিয়াম নামে আগাছার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কী ভাবে পরিবেশ কে মুক্ত রাখা যায়।
সকাল থেকেই মুখোশ এবং দস্তানা পড়ে নেমে পড়েন সংগঠনের সদস্যরা। সখেরবাজারের সন্তোষ
রায় রোড ধরে শুরু হয় পার্থেনিয়াম নির্মূল অভিযান। উপস্থিত ছিলেন ‘মাদাম কুরী সায়েন্স সোসাইটি’-র সভাপতি অধ্যাপক অমিতাভ গাঙ্গুলী এবং ‘ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি’-র পঃবঃ রাজ্য চ্যাপ্টারের পক্ষে আশিষ সামন্ত। পার্থেনিয়াম নির্মূলের পাশাপাশি এই ব্যাপারে
এলাকার মানুষকে সচেতন করে তোলা হয় দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে।
আশিসবাবু বলেন,‘‘এই আগাছাটি এতটাই ক্ষতিকর যে এর থেকে মানুষের হাঁপানি, ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ, চুলকুনির মত চর্মরোগ,গবাদি পশুর বৃক্ক ও যকৃতে রোগ দেখা যায়। এই রোগের কোন ওষুধ নেই এবং অতিদ্রুত এই বিষাক্ত গাছ ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষের পক্ষে সব থেকে বিপজ্জনক হল এর
ফুলের রেনু।”
বাতাসে ভেসে বেড়ানোর কারণে মানুষ অতি দ্রুত আক্রান্ত হতে পারে। তাই ফুল আসার আগেই এই গাছটিকে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে
হবে। পঞ্চায়েত, পুরসভা এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে একে নির্মূল করতে না পারলে সমূহ
বিপদ।