শুধুমাত্র মনের প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও সাহসিকতাকে কাজে লাগিয়ে পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে লেটার মার্কস-সহ মোট ৩৪৬ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে প্রলয় দে
শুধুমাত্র মনের প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও সাহসিকতাকে কাজে লাগিয়ে পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে লেটার মার্কস-সহ মোট ৩৪৬ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে প্রলয় দে৷ তার এই অভূতপূর্ব সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দে৷ পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে প্রলয়, তাই তাঁর পড়াশুনার সমস্ত দায়িত্ব বহন করবে রাজ্য সরকার, ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
প্রসঙ্গত, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এ-বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ উদয়পুরের মাতাবাড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র প্রলয় দে-কে আজ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব৷ আজ প্রলয় দে তার বাবা সুমনকুমার দে এবং মা পুতুল গুহ দে’কে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে সাক্ষাৎ করে৷ মুখ্যমন্ত্রী দেব প্রলয় দে-র পড়াশুনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন এবং রাজ্য সরকার তার পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস দেন৷
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নিজের জীবনকে কীভাবে গড়ে তুলতে হয় প্রলয় দে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত৷ দিব্যাঙ্গজনরা কোনও ক্ষেত্রেই যে পিছিয়ে নেই প্রলয় সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব জানান, ভবিষ্যতে কৃতী ছাত্র প্রলয় দে’র উচ্চশিক্ষার জন্য যাবতীয় ব্যয়ভার রাজ্য সরকার বহন করবে৷ বর্তমানে সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে দিব্যাঙ্গ হিসেবে প্রলয় যে মাসিক ভাতা পাচ্ছে তার পাশাপাশি পড়াশুনার জন্য আর কী কী সুযোগ সুবিধা দেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে৷ উল্লেখ্য, প্রলয় দে’র জন্ম থেকেই দু’হাত অকেজো৷
আজ প্রলয় জানিয়েছে, পা দিয়ে লিখতে তার কোনও অসুবিধা হয় না৷ বরং মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের জন্য বরাদ্দ তিন ঘণ্টার আগেই তার উত্তর দেওয়া শেষ হয়ে যেত৷ প্রলয় আরও জানিয়েছে, এই কৃতিত্বের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তার বাবা ও মায়ের৷ ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার বদলে কলা বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে চাইছে প্রলয়৷