আজ ১৪ জুন, পাঁচদিনে পড়ল চিকিৎসকদের আন্দোলন| বিভিন্ন সরাকরি হালপাতালে শুরু হয়েছে চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার হিড়িক৷ এমতবস্থায় শিকেয় উঠেছে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা
আজ ১৪ জুন, পাঁচদিনে পড়ল চিকিৎসকদের আন্দোলন| বিভিন্ন সরাকরি হালপাতালে শুরু হয়েছে চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার হিড়িক৷ এমতবস্থায় শিকেয় উঠেছে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা| যদিও আউটডর বন্ধ থাকলেও আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই খোলা ছিল জরুরি বিভাগ| তা সত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এমন অচলাবস্থা অবস্থা সারিয়ে তোলার জন্য, শুক্রবার চিকিৎসকদের পরিষেবা শুরু করার অনুরোধ জানান কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম| এদিন নিজের ফেসবুক ওয়ালে এই অনুরোধ করেন তিনি|
এদিন ফিরহাদ হাকিম লেখেন, “আন্দোলনরত ডাক্তারবাবুদের কাছে একান্ত অনুরোধ পরিষেবা শুরু করুন| বিভিন্ন হাসপাতালে রুগী মৃত্য হচ্ছে এটাকে মানবিকতার সাথে দেখুন| আপনাদের দাবি দাওয়া নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করুন কিন্তু পরিষেবা অব্যাহত রাখুন|
আপনাদের সুরক্ষার জন্য পুলিশি ব্যবস্থা এখনই চোখে পড়ার মতো এবং আপনাদের কর্মস্থলে আপনাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রী নিজে করেছেন| সাধারণ মানুষের কাছে আপনারা ভগবান আর সেই দায়িত্ব পালন করুন|”
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই চিকিৎসকদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন ফিরহাদ কন্যা শাবা হাকিম| তিনিও নিজের ফেসবুক ওয়ালেই তার সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন| শাবা লিখেছিলেন, ‘‘এ রাজ্যের সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বয়কট করেছেন ডাক্তাররা। কিন্তু জরুরি বিভাগে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মানবিকতার খাতিরেই আমরা অন্য পেশার মতো কাজ বন্ধ করতে পারি না। যদি বাস বা ট্যাক্সি ধর্মঘট হয়, তবে একজন ট্যাক্সি চালক-বাসচালকও আপনাকে পরিষেবা দেবেন না, সে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন। যাঁরা বলছেন, ‘অন্য রোগীদের কী দোষ?’ তাঁরা দয়া করে সরকারকে জিজ্ঞেস করুন, সরকারি হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাঁরা কেন ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিতে পারলেন না? দয়া করে জিজ্ঞেস করুন, যখন ২টি ট্রাকে করে গুন্ডারা এল, কেন সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হল না? কেন হাসপাতাল চত্বরে এখনও গুন্ডারা ঘুরে বেড়াচ্ছে? শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে আমাদের। নিরাপদে কাজ করার অধিকার রয়েছে আমাদের।” এরপরই আত্মসমালোচনার সুরে ফিরহাদ কন্যা ‘বিশেষ দ্রষ্টব্য’ সহকারে লেখেন, “একজন তৃণমূল সমর্থক হিসেবে আমাদের নেতৃত্বের নীরবতা দেখে আমি খুবই লজ্জিত।”
এরআগে ফেসবুকে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়| তারসঙ্গেই অন্যান্য মন্ত্রীরাও এই অনুরোধ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ফেসবুকে| কিন্তু বৃহস্পতিবার পুরো অন্য সুরেই শোনা গিয়েছিল ফিরহাদ কন্যা শাবার গলায়, তারপরেই ওই পোস্টের মলম হিসেবেই মেয়রের এদিনের পোস্ট বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা|