ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের কাছ থেকে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে।সেই রিপোর্ট এসে গেলেই বিশদে খতিয়ে দেখা হবে, কোন কলেজে, কোনও বিষয়ে আসলে ঠিক কত আসনের প্রয়োজন
কলেজে স্নাতকস্তরে ভর্তির বর্ধিত সময়সীমা শেষ হল বুধবার| কিন্তু তা সত্ত্বেও ফাঁকা অধিকাংশ আসন| চলতি বছরে স্নাতক-স্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণটাই হয় অনলাইনে| আবেদন করার সময় শেষ হয়েগেলেও অধিকাংশ কলেজের আসন পূর্ণ হয়নি| যার ফলে পুনরায় এই ভর্তির সময় বর্ধিত করে উচ্চশিক্ষা দফতর| কিন্তু সেই সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও ফাঁকা বহু আসন|
জেনারেল কোর্সের আগ্রহ কমে এখন প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক কোর্সে এবং নানান ধরনের পেশাগত কোর্সের দিকে ঝুঁকছে ছাত্রছাত্রীরা| সেই কারণেই কলেজে ভর্তির ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’-র মত হল বলে মনে করছেন সুরেন্দ্রনাথ, জয়পুরিয়া, আশুতোষ, বঙ্গবাসী এবং সিটি কলেজের অধ্যক্ষ সহ আরও একাধিক কলেজের অধ্যক্ষরা| অন্যান্য বছর যেসব কলেজগুলিতে ভর্তির হিরিক পরে যায় সেইসব কলেজগুলির সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ স্নাতকের (অনার্স ও পাশ) আসনও ফাঁকা পড়ে আছে|
এইবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “পড়ুয়াদের চাপের কথা বলে বহু কলেজই অতীতে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়েছে। সেই বর্ধিত আসনের বিষয়ে নানা সময়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। এ বার ভর্তি প্রক্রিয়ার গোটাটাই অনলাইনে হওয়ায় ধরা পড়ে গিয়েছে সেই চাপের আসল চেহারা”| তাঁর আরও বক্তব্য, “ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের কাছ থেকে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে।সেই রিপোর্ট এসে গেলেই বিশদে খতিয়ে দেখা হবে, কোন কলেজে, কোনও বিষয়ে আসলে ঠিক কত আসনের প্রয়োজন”।