হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও আক্রান্তরা যেন নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। AIIMS-এর তরফে বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসকদের এই বিষয়ে রোগীদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে থাবা বসিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকসিস। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই সংক্রমণের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। কোভিড চিকিৎসায় যাঁদের বেশি সময় ধরে স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছে তাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা এবং দুর্বলতা বাড়তে পারে।
তবে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি দেশে নতুন কোনও অতিমারির আকার নিতে চলেছে? এই প্রশ্ন উঠে আসছে নানা মহল থেকে। তাই ইদানীং এই সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করল AIIMS।
ঝুঁকি বেশি কাদেরঃ-
* ডায়াবিটিসে ভুগছেন যারা
* ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে যাদের
* স্টেরয়েড নিতে হয় যাদের
* বেশি মাত্রায় কোভিড সংক্রমণ হয়েছে যাদের
লক্ষণীয় কিছু উপসর্গঃ-
* দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া
* নাক থেকে কালচে রক্ত বের হওয়া
* নাক বন্ধ
* ত্বকের সমস্যা
* চোখ খুলতে বা বন্ধ করতে সমস্যা
* এটি গালের একপাশে বা উভয় দিকেই হতে পারে
এই ফাঙ্গাস সংক্রমণ হলে তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে মুখে। নাক থেকে কালচে রক্ত বা তরল বেরোতে থাকে। চোখের তীব্র সমস্যা হয়। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়, চোখ খোলা-বন্ধ করতে সমস্যা হয়। এই সব সমস্যার দিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, নিয়মিত দিনের আলোয় মুখের পরীক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে, কোথাও কোনও কালচে ছোপ পড়ছে কি না, নাক বা মুখের ভিতরে কোথাও কালো তরলের ক্ষরণ হচ্ছে কি না।