লন্ডনের “ফেলো অফ রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি”-র তরফ থেকে বিশ্বের অ্যাস্ট্রো ফিজিক্সের উপর গবেষণা করে এই বছর ভারত থেকে এই সম্মান পাচ্ছে যাদবপুরের গণিতের অধ্যাপক ফারুক বাবু
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে আরও একটি পালক যোগ হল। এবার “ফেলো অফ রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি” হিসেবে নির্বাচিত হলেন যাদবপুরের গণিতের অধ্যাপক ডঃ ফারুক রহমান। এস্ট্রো ফিজিক্সের উপর গবেষণা করে তিনি এই পুরস্কারের অধিকারী হয়েছেন। সারা বিশ্ব থেকে অল্প কয়েকজনকে নির্বাচিত করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ভারত থেকে সম্ভবত উনিই একা যিনি এই পুরস্কার পাচ্ছেন। লন্ডনের “ফেলো অফ রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি” সারা বিশ্বের অ্যাস্ট্রো ফিজিক্সের উপর গবেষণা করেছেন যাঁরা তাদের এই সম্মান দেওয়া হয়। এই বছর ভারত থেকে এই সম্মান পাচ্ছে যাদবপুরের গণিতের অধ্যাপক ফারুক বাবু।
এক কথায় সবাই গর্বিত ফারুক রহমানের জন্য। যাদবপুরের সহ উপাচার্য প্রদীপ ঘোষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ” অধ্যাপক ফারুক রহমানের এই কৃতিত্বে আমরা সকলে গর্বিত। আগামীতে ওনার আরও সাফল্য কামনা করি। এইরকম কৃতি গবেষক ও অধ্যাপকদের জন্যেই আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে।”
আর কি বলছেন এই কৃতি অধ্যাপক? তাঁর কথায়, ” এই পুরস্কার পেয়ে গর্ববোধ করছি”। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “মহাকাশে গ্যালাক্সি প্রচণ্ড জোরে ঘুরছে। গ্যালাক্সি থেকে আসা যতটা আলো দেখতে পাই তাঁর ততটা যথেষ্ট নয়। এই গ্যালাক্সির দ্রুত ঘোরানোর জন্য কিছু পদার্থের প্রয়োজন বলে আমি গবেষণা করেছি।” ফারুক বাবু তাঁর গবেষণাপত্রে বলেছেন, যেই পদার্থ গুলি আমরা দেখতে পাইনা সেগুলোকে ডেকম্যাটার বলে। এই পদার্থগুলি আলোর সাথে কোনও প্রতিক্রিয়া করেনা বলে আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা তাঁদের। ডেকম্যাটার নিয়ে তিনি বলেন, গ্যালাক্সির ভিতরে ওয়ার্ম হোল বা শর্টকাট তৈরি করে। অন্যান্য গবেষণায় ব্ল্যাকহোলের ম্যাথামেটিকাল মডেলের বর্ণনা করা হয়েছে। একে গ্রাভাস্টার বলে। তাঁর এই সকল গবেষণার উপর ভিত্তি করেই তাঁকে এই সম্মান দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
তাঁর এই গবেষণার কথা আমেরিকার অ্যানালস অফ ফিজিক্স পত্রিকায় বেরিয়েছে। তাছাড়াও দেশের তথা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রথমস্তরের পত্রিকায় তাঁর গবেষণা সংক্রান্ত লেখা বেরিয়েছে।