মেদিনীপুর মেডিক্যালেও অচলাবস্থা, বিনা চিকিত্সায় মৃত্যুর অভিযোগে অবরোধ রোগীর পরিবারের

2 - মিনিট |

রোগীদের অভিযোগ এমন দশ জনের বেশি রোগী কষ্ট পেয়ে রাতে মারা গিয়েছে

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

এনআরএস কান্ডের জেরে অচলাবস্থা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ৷ মঙ্গলবার থেকেই এই হাসপাতালেও জুনিয়ার ডাক্তাররা কর্মবিরতি ডেকেছেন ৷ তার জেরে বেশিরভাগ রোগীই চিকিত্সা পরিষেবা বঞ্চিত ৷ কারন হাতে গোনা সিনিয়ার চিকিৎসক থাকলেও তারও চিকিৎসক নিগৃহের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন, গুটি কয়েক কাজে এলেও তাদের পরিষেবা তেমন ছিলনা ৷ ফলে ইমারজেন্সিতে এনেও অনেক মুমুর্ষু রোগীকে ফেরত যেতে হয়েছে ৷ বুধবার সকাল থেকে রটে যায় বারোজন রোগী মারা গিয়েছে বিনা চিকিত্সায় ৷ এরপরই উত্তেজিত রোগীর পরিবারের লোকেরা এই হাসপাতালের সামনে মেদিনীপুর শহরের বটতলা চক এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন৷ এর ফলে হাসপাতালে তো বটেই মেদিনীপুর শহরেও রাস্তায় অচলাবস্থা শুরু হয় ৷ এই রকম অবস্থা সকাল থেকেই চলেছে দিনভর ৷ দফায় দফায় মেডিক্যাল কলেজের সুপার পঞ্চানন কুন্ডু জুনিয়ার ডাক্তরদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করছেন ৷ কিন্তু কাটেনি অচলাবস্থা ৷ উল্টে রোগীর পরিবারের উত্তেজিত লোকজনের সঙ্গে ইমার্জেন্সির সামনে অবস্থান রত জুনিয়ার ডাক্তারদের বাদানুবাদ তৈরী হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করতে হয় ৷ কেশিয়াড়ীর খাজরার বাসিন্দা হিমাংশু মান্না (৪৫)খিচুনি সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এই হাসাপাতালে ভর্তি হন ৷ এমার্জেন্সিতে থাকা এক চিকিত্সক একটি স্যালাইন দেওয়া পরে আর কেউ খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ ৷ ফলে কষ্ট পেয়ে রাতেই মৃত্যু হয় ৷ স্ত্রী চন্দনা মান্না বলেন- অনেক অনুরোধ করেছি সকলকে, পায়ে ধরেছি ৷ তবু কেউই একবার দেখল না ৷ বিনা চিকিত্সাতেই মারা গিয়েছে স্বামী ৷   রোগীদের অভিযোগ এমন দশ জনের বেশি কষ্ট পেয়ে রাতে মারা গিয়েছে ৷ মেডিক্যল সুপার পঞ্চানন কুন্ডু বলেন- ” আমরা জুনিয়ারদের বোঝানোর চেষ্টা করছি ৷ কিন্তু ওদের দাবিটাও অমুলক কিছু নয়,অনেক দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে ৷ দেখছি কতদুর কি করা যায় ৷ তবে চিকিত্সা পরিষেবা না পেয়ে মারা গিয়েছে এই বার্তা ভুল ৷ তিন শিশু সহ যে ৬ জন মারা গিয়েছে সেটা রোগের কারনেই ৷ স্বাভাবিক মৃত্যু ৷ যা এই বিশাল হাসপাতালে গড় মৃত্যুর হারের কম ৷” মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ৭৬৫ টি বেড রয়েছে ৷ আউটডোর মিলিয়ে রোজ একহাজারের বেশি রোগী চিকিত্সা পরিষেবা পান ৷ হাসাপাতাল কতৃপক্ষের বক্তব্য রোজ গড়ে দশজন রোগী মারা গিয়েই থাকে রোগের কারনে ৷ 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news