‘যোগাভ্যাসের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই ভালোভাবে অবগত। যোগাভ্যাস আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু, এবার আমাদের সবাইকে একটু অন্য পর্যায়ে যোগাভ্যাস করতে হবে’
শহর থেকে আধুনিক যোগাভ্যাসকে এবার গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার সময় এসেছে। দরিদ্র মানুষদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অভ্যাসে পরিণত করতে হবে যোগাভ্যাসকে। কারণ, দরিদ্র মানুষই অসুস্থতার কারণে সর্বাধিক কষ্ট পান। ২১ জুন, শুক্রবার পঞ্চম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে এমনই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আগেই, শুক্রবার সকালে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির প্রভাত তারা গ্রাউন্ডে শুরু হয় পঞ্চম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠান| প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যোগাভ্যাসে অংশ নেন ছাত্র-ছাত্রী-সহ ৩০ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ| আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকালেই রাঁচির প্রভাত তারা গ্রাউন্ডে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| সাদা টি-শার্ট ও সাদা ঢিলেঢালা প্যান্ট পরে যোগাসন করেন প্রধানমন্ত্রী| শহর থেকে আধুনিক যোগাভ্যাসকে এবার গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার সময় এসেছে, এই আহ্বাণ জানিয়ে উপস্থিত সকলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘শহর থেকে আধুনিক যোগাভ্যাসকে এবার গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার সময় এসেছে। দরিদ্র মানুষদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অভ্যাসে পরিণত করতে হবে যোগাভ্যাসকে। কারণ, দরিদ্র মানুষই অসুস্থতার কারণে সর্বাধিক কষ্ট পান।’ বিগত চার বছরের মতো পঞ্চম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসেও গোটা বিশ্বে স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে যোগ দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যোগ দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করার জন্য গোটা বিশ্ববাসীকে ধন্যবাদ। পৃথিবীর যেখানে যখন সূর্য উঠেছে আজ, তখনই মানুষ যোগে সামিল হয়েছেন। যোগাভ্যাসকে দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অভ্যাসে পরিণত করুন, এটাই আমার অনুরোধ প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ।’ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘যোগাভ্যাসের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই ভালোভাবে অবগত। যোগাভ্যাস আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু, এবার আমাদের সবাইকে একটু অন্য পর্যায়ে যোগাভ্যাস করতে হবে।’ এদিন রাঁচির প্রভাত তারা গ্রাউন্ডে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস-সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। রাঁচির প্রভাত তারা গ্রাউন্ড ছাড়াও দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়| রাষ্ট্রপতি ভবনে যোগাভ্যাস করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মহারাষ্ট্রের নানদেদ-এ যোগাসন করেন যোগগুরু বাবা রামদেব এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। হরিয়ানার রোহতকে যোগাভ্যাস করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। সংসদ চত্বরে যোগাভ্যাস করেন লোকসভার স্পিকার ওম প্রকাশ বিড়লা, দিল্লির রাজপথে যোগাভ্যাস করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও। দিল্লির দ্বারকায় যোগ দিবস পালন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি| ভারত-তিব্বত সীমান্ত, হিমাচল প্রদেশের রোহতাং পাস-প্রায় ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেই যোগ দিবস পালন করেছেন আইটিবিপি জওয়ানরা| শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্বের মোট ১৮০টি দেশে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস| উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২১ জুন দিনটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ|