রাজ্যজুড়ে ১৯৪ জন চিকিৎসকের গণইস্তফা

2 - মিনিট |

এই পরিস্থিতিতে সিনিয়র ডাক্তারদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

শুক্রবার রাজ্যজুড়ে এখন পর্যন্ত ১৯৪ জন চিকিৎসক গণইস্তফা দিলেন । আরও অনেক সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন । এনআরএস হাসপাতালের ১০০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দিতে চলেছেন । হাসপাতালের সুপার ও ডেপুটি সুপার হাসপাতালে না আসায় সিনিয়র ডাক্তাররা এখন বৈঠকে বসেছেন । এর আগেই এনআরএসকাণ্ডে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রায় আশি জন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন । উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজেও ১৪ জন সিনিয়র ডাক্তার পদত্যাগ করেছেন । প্রশাসনিক অসহিষ্ণুতার দাবিতে এই ইস্তফা প্রদান করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট ও ভাইস প্রিন্সিপাল এবং সুপার ইস্তফা দিয়েছিলেন । তারপরেই রাতে সিউড়ি জেলা হাসপাতালের ৬৪ চিকিৎসক ইস্তফা দিতে চান । শুক্রবার সকালে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের কমপক্ষে ৮০ জন চিকিৎসক গণইস্তফা দিলেন । আরএমও থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র ডাক্তার এবং প্রফেসররাও রয়েছেন এই তালিকায়।এনআরএসের ঘটনার পর রাজ্যে বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকেরা ইস্তফা দিলেও কলকাতা শহরে এই প্রথম । গতকাল উত্তপ্র ২৪ পরগণার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডাক্তারদের গণইস্তফা দেওয়ার ঘটনা শুরু হয় ।  ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন এনআরএসের অধ্যক্ষ এবং সুপার । এমনকি আজ সকালে ইস্তফা দেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রধান নির্মল বেরা ও সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার গৌতম দাস । ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সৌর্যদীপ সরকার এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন । তিনি জানিয়েছেন, এনআরএসের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির পরই বৃহস্পতিবার থেকে গণ-ইস্তফা দিতে শুরু করেন চিকিৎসকরা ।এদিন সকালে আরজিকর হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং থেকে আন্দোলনরত ইন্টার্ন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে হাসপাতাল চত্বরেই মিছিল বের করেন সিনিয়র ডাক্তাররা । তাদের হাতেই ছিল ইস্তফাপত্র । তাঁদের একটাই অভিযযোগ, ‘যে পরিকাঠামোয় আমরা কাজ করছি তা মেনে নেওয়া যায় না । মুখ্যমন্ত্রী কী জন্য অপেক্ষা করছেন ? আরও এক ডাক্তারের জীবনের জন্য’? শরীরী ভাষায় জুনিয়দের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তাররাও এবার বুঝিয়ে দেন, প্রশাসন তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করলেন আন্দোলন চলবেই ।তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইমার্জেন্সি পরিষেবা চালু রয়েছে । ২৪ ঘণ্টা ধরেই সেখানে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে । ইস্তফা দেওয়া ডাক্তারদের অভিযোগ, বারবার আইন শৃঙ্খলা ব্যহত হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে । আক্রান্ত হতে হয়েছে ইন্টার্ন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের । প্রশ্ন উঠেছে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে । আর এই পরিস্থিতিতে সিনিয়র ডাক্তারদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news