সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় মাপের তথ্য সংরক্ষণের (ডিজিটাইজ) কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। ২৪ হাজার প্রাচীন পুঁথি এবং পাণ্ডুলিপিকে ডিজিটাইজ করা হচ্ছে
সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় মাপের তথ্য সংরক্ষণের (ডিজিটাইজ) কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। ২৪ হাজার প্রাচীন পুঁথি এবং পাণ্ডুলিপিকে ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। ১৮২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজের বাহ্যিক রূপকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
প্রেসিডেন্সি এবং কলকাতার পর ভোল পালটাতে চলেছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়েরও। সেখানে ডিজিটাইজশনের এই কাজ করছে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ওয়েবেল। ইতিমধ্যেই ২২ হাজার পাণ্ডুলিপির ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে দুষ্প্রাপ্য মেওয়ারি, তিব্বতি পাণ্ডুলিপি এবং পুঁথিও রয়েছে। এর পরেই লাইব্রেরির বিশাল পুস্তক সম্ভারকে ডিজিটাইজ করার কাজে হাত দেওয়া হবে। ভোল পালটানোর চেয়েও বলা ভালো, আগের রূপে ফিরতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহ্যিক চেহারা। সূত্রের খবর, জবর দখল হয়ে থাকা জায়গাকে পুরনো রূপ দেওয়ার কাজ যে সমস্যার, তা মাথায় রেখেই কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করছে। কাউকে উচ্ছেদ না করেই যাতে প্রাচীন রূপে সংস্কৃত কলেজ তথা বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরানো যায়, সেই চেষ্টা চলছে।
উপাচার্য পলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হেরিটেজ কমিশনের পরামর্শে পূর্ত দফতর এই কাজ করবে। এমনকি কমিশনের স্থপতি এসে ক্যাম্পাস ঘুরে গিয়েছেন।
উপাচার্যের কথায়, “সরকারও এ ব্যাপারে আগ্রহী। সেটাই আমাদের ভরসা জোগাচ্ছে। কী কী রয়েছে নতুন পরিকল্পনায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্যাম্পাসের ভিতরেই ক্যান্টিন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। শৌচালয়ের মানোন্নয়ন এবং সংখ্যাবৃদ্ধি, অগ্নিসুরক্ষার মানোন্নয়নে একটি ভুগর্ভস্থ জলাধার তৈরি প্রভৃতি পরিকল্পনায় রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
এর পাশাপাশি সবুজায়নও করা হবে।
উপাচার্য বলেন, ঐতিহ্যকে সঙ্কটে ফেলে কোনও উন্নয়ন হবে না। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু আমরা জোর-জবরদস্তিতে বিশ্বাসী নই। কিছু শিক্ষক সংগঠনের অফিস রয়েছে। তাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া নিয়ে কথাবার্তা চলছে। আরও ক্লাসকক্ষ প্রয়োজন। জায়গাও খুব সীমিত।