ডায়রিয়া আক্রান্ত আনুমানিক ৫২ জনকে হিঙ্গলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশু ও মহিলাসহ ৬ জনকে রেফার করা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে
মঙ্গলবার রাত থেকে ডায়রিয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হিঙ্গলগঞ্জের বেশ কয়েকটি গ্রামে। ডায়রিয়া আক্রান্ত আনুমানিক ৫২ জনকে হিঙ্গলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশু ও মহিলাসহ ৬ জনকে রেফার করা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এলাকায় মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার রাত ৮ টার পর থেকে বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক এর বোলতলা ও উত্তর মামুদপুর এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ ধরা পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। রাত থেকেই পায়খানা, বমি ও জ্বরের লক্ষণ ধরা পড়ে গ্রামবাসীদের শরীরে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর পরও প্রকোপ বাড়তে থাকায় বুধবার সকাল থেকে গ্রামবাসীদের লাইন পড়ে যায় হিঙ্গলগঞ্জ এর স্যান্ডেলের হাসপাতলে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা আক্রান্ত হয় ডায়রিয়ায়। বুধবার বিকাল পর্যন্ত আনুমানিক ৫২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি করা হয় স্যান্ডেলের বিল হাসপাতালে। যার মধ্যে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ টি শিশু। আক্রান্তদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই শিশুসহ ৬ জনকে রেফার করা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। এছাড়াও বেশ কিছু ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি করা হয় টাকী গ্রামীণ হাসপাতালে। ডায়রিয়া আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয়ে ওঠে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালের আউটডোর চিকিৎসার পাশাপাশি গ্রামেও মেডিকেল টিম পাঠানো হয় স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে। প্রাথমিকভাবে ভ্যাটের পাইপলাইনের জল থেকে এই রোগের উৎপত্তি বলে অনুমান জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। আর সেখানে ভ্যাটের জল সরবরাহের পাইপ সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার সি এম ও এইচ দেবব্রত মুখার্জী। যদিও ভ্যাটের জল ছাড়া অন্য কোন পানীয় জল থেকেও এই রোগের উৎপত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রোগের আসল কারণ নির্ণয় করতে পানীয় জলের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায় স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।