জুনিয়র চিকিত্সকদের মাত্র ৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী| হবু চিকিত্সকরা এবার কী সিদ্ধান্ত নেন, তাই দেখার
দীর্ঘ ৬০ ঘন্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত| এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল না নীলরতন সরকার হাসপাতাল-সহ কলকাতার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে| নিজেদের অবস্থানে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা| বন্ধ আউটডোর পরিষেবাও| এনআরএস হাসপাতাল ছাড়াও একই ছবি ধরা পড়েছে এসএসকেএম হাসপাতালেও, অগত্যা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা| গ্রাম বাংলা থেকে কলকাতায় চিকিত্সা করাতে আসা রোগীরা চিকিত্সা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন| এই পরিস্থিতি ডাক্তারদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘৪ ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র জাক্তারদের| না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে| যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের সরকার কোনওভাবেই সাহায্য করবে না |’
জুনিয়র ডাক্তার ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়| গুরুতর জখম হয় পরিবহ মুখোপাধ্যায় নামে এক জুনিয়র চিকিত্সক| অস্ত্রোপচারের পর এখন ভালো আছেন পরিবহ| চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, পরিবহের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই| সুস্থ হয়ে উঠেছেন পরিবহ| কিন্তু, নিজেদের সিদ্ধান্তে এখনও অনড় জুনিয়র চিকিত্সকরা| এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| জুনিয়র চিকিত্সকদের মাত্র ৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী| হবু চিকিত্সকরা এবার কী সিদ্ধান্ত নেন, তাই দেখার|
এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে প্রথমে জরুরি বিভাগের সামনে এবং গোটা চত্বরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী | তারপর রোগীদের সঙ্গে কথাও বলেন | এরপরই কড়া বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আজকের মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে| মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে | দমকল যদি বলে আগুন নেভাব না, পুলিশ যদি বলে কাজ করব না-সেটা হতে পারে না | ৪ ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিত্সকদের |’