শারীরিক দুর্বলতা কে উপেক্ষা করেও অনশনজারি প্রাথমিক শিক্ষকদের

< 1 - মিনিট |

১৪ জন সহকর্মীর অবৈধ বদলির নির্দেশ বাতিল সহ পূর্ব বিদ্যালয়ে ফেরানো ও বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে অনশনে সামিল প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ| যতক্ষণ না পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি দাবি ও বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই অনশন অটুট থাকবে বলেই জানায় অনশনকারীরা

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

 বেতন বৃদ্ধির দাবি, অনৈতিক ভাবে শিক্ষকদের দূরে বদলির প্রতিবাদে  ১৩ জুলাই  থেকে অনশনে বসেছেন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা৷ সল্টলেকে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তির কাছে ওয়াই চ্যানেলে চলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন স্থল৷  সোমবার দশম দিনে পা দিল প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন| অনশনের দশম দিনেও  শারীরিক ভাবে বহু শিক্ষক দুর্বল হয়ে পড়লেও তারা মানসিক ভাবে দুর্বল নয়| যতদিন না সুরাহা মিলছে ততদিন হাল না ছেড়ে কঠোর ভাবে চালাবে তাদের অনশন বলেই জানায় তারা | 

১৪ জন সহকর্মীর অবৈধ বদলির নির্দেশ বাতিল সহ পূর্ব বিদ্যালয়ে ফেরানো ও  বেতন বৃদ্ধির দাবি  নিয়ে অনশনে সামিল প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ| যতক্ষণ না পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি দাবি ও বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই অনশন অটুট থাকবে বলেই জানায় অনশনকারীরা| সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও হয় তাদের| কিন্তু বৈঠকের পরও কাটেনি জট । আর্থিক কারণেই তাদের বেতন দাবি মতো বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ তা নিয়ে অনশনকারীদের বক্তব্য, সরকারের ইগো ও সদিচ্ছার অভাবই দাবি পূরণে প্রধান বাধা । আর্থিক অনটন তাঁদের ন্যায্য বেতনক্রম দেওয়ার পথে কোনও বাধা নয় । আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও হাল ছাড়ব না|এই প্রসঙ্গে এদিন অনশনকারী তন্ময় ঘোড়ুই বলেন,  আসল সমস্যাটা টাকা নয়, আসল সমস্যা হচ্ছে ইগো বা মানসিকতা । সদিচ্ছার অভাব । এটা ওনার বড় সমস্যা| যখন রোদ বাড়ে তখন কষ্ট আরও বাড়ে। আজকেও পারমিতাদি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন । প্রতিদিনই তিন-চারজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আবার ফিরে এসে অনশনে বসছেন । মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে | কিন্তু এর মধ্যেও  এতজন শিক্ষকদের যে ভালোবাসা, শুভেচ্ছা রয়েছে, একটা যে মানসিক শক্তি যোগাচ্ছে, সেখানেই আমাদের শারীরিক অসুস্থতা অনেকটা লাঘব হয়ে যাচ্ছে ।আমরা শারীরিক ভাবে অসুস্থ কিন্তু মানসিক ভাবে নই তাই হাল ছাড়ব না’|

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *