উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, আসাম, হিমাচল প্রদেশ এবং ওডিশার স্বাস্থ্য মন্ত্রীরা এই পর্যালোচনা বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ইন্টেসিফায়েড মিশন ইন্দ্রধনুষ (আইএমআই) ২.০ বিভিন্ন রাজ্যে সূচনা হওয়ার যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তা রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে খতিয়ে দেখলেন। তিনি রাজ্যগুলির প্রধান সচিব ও এনএইচএম মিশন ডিরেক্টর এবং টিকাকরণ আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, আসাম, হিমাচল প্রদেশ এবং ওডিশার স্বাস্থ্য মন্ত্রীরা এই পর্যালোচনা বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।
আইএমআই ২.০-র আওতায় শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের টিকাকরণের গুরুত্বের কথা ডঃ হর্ষবর্ধন উল্লেখ করেন। সম্পূর্ণ টিকাকরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে বিষয়গুলির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ২০১৭ সালে বড়নগরে আইএমআই – এর সূচনা করা হয়েছিল। গ্রাম স্বরাজ অভিযান ও বর্ধিত গ্রাম স্বরাজ অভিযানের মাধ্যমে টিকাকরণের ওপর আরও বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আইএমআই ২.০-র লক্ষ্য হ’ল – ২৭টি রাজ্যে ২৭২টি জেলায় সম্পূর্ণ টিকাকরণ এবং উত্তর প্রদেশ ও বিহারে ৬৫২টি ব্লকে এর বাস্তবায়ন। ঐ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডঃ হর্ষবর্ধন রাজ্যের প্রতিনিধিদের জানান, পোলিও কর্মসূচি থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে চাই। এই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যগুলি জানিয়েছে ২ ডিসেম্বর আইএমআই ২.০ কর্মসূচিটি শুরু করার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। ২৯টি রাজ্যের নির্বাচিত ২৭২টি জেলায় টিকাকরণ কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য তথ্য, শিক্ষা ও সংযোগমূলক কর্মপন্থা নেওয়ার পাশাপাশি, বকেয়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৭’র অক্টোবরে আইএমআই প্রকল্প দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। নিয়মিত টিকাকরণকে গণআন্দোলনে পরিণত করাই এর উদ্দেশ্য। ডিসেম্বর থেকে ২০২০-র মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হবে। দেশ জুড়ে জাতীয় টিকাকরণের ৯০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোই এর উদ্দেশ্য।