শরীর সুস্থ রাখতে গেলে হজম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, আইবিএস এবং অন্যান্য হজম সংক্রান্ত সমস্যা কিন্তু স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরে নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ঠিকভাবে খাবার হজম না হলে এনার্জির লেভেল কমে যায়। দুশ্চিন্তা বাড়ে। গাটের সমস্যা দেখা দেয়।লিভারে সমস্যার পাশাপাশি ওজনও বাড়তে থাকে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।তাহলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কিছু টিপস
তন্তু সমৃদ্ধ খাবার খান: প্রচুর তন্তু সমৃদ্ধ ফল-সবজি নিত্যদিনের ডায়েটে রাখুন। আপেল, পাম, পালংশাক, ওটস, বাদাম জাতীয় খাবারেও উপকার পাবেন। এর ফলে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ট্রাক পরিষ্কার থাকবে। নিয়মিত মলত্যাগের মাধ্যমে পেট পরিষ্কার রাখাও সম্ভব হবে।
খাবার খান চিবিয়ে: তাড়াহুড়ো করে খেয়ে পেট ভরে ঠিকই। কিন্তু খাবার হজম হওয়া খুবই দুঃসাধ্য। চিকিৎসকরা সব সময় পরামর্শ দেন, যে কোনও খাবারকে সময় নিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে। তাহলে হজমে কোনও অসুবিধা হবে না।
ডায়েটে থাক পানীয়: প্রতিদিনকার জীবনে জল বা ফলের রস যথেচ্ছ পরিমাণ শরীরের জন্য প্রয়োজন। এতে শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। পেট পরিষ্কার থাকে এবং শরীরের ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে না। অনেকে নানা রকম ডিটক্স-এর মাধ্যমে জলের ঘাটতি পূরণ করে থাকেন।
পাতে থাক প্রোবায়োটিক: গাঁটে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রোবায়োটিক নিয়মিত থাওয়া প্রয়োজন। গাট সুস্থ থাকলে হজম শক্তিও ভালো হয়।এবং তাতে দ্রুত ওজন ঝরানো সম্ভব হয়। দই, কেফির, কিমচি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
সময়ে খান: প্রতিদিনের খাবারের একটা নির্দিষ্ট সময় তৈরি করে ফেলুন। চেষ্টা করুন সেই সময়েই খাবারটা খেতে। তাহলে আপনার হজম নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে নিজেকে অ্যাডজাস্ট করে নেবে। বিশেষ করে প্রাতরাশ-মধ্যাহ্নভোজ ও রাতের খাবারের জন্য নির্দিষ্ট সময় মেনে চলার চেষ্টা করুন।