জীবনশৈলির দ্রুত পরিবর্তনের জন্য বাড়ছে হৃদরোগীর সংখ্যা

< 1 - মিনিট |

বিজ্ঞানসম্মত এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত বাইপাস সার্জারি, কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পর্দায় তা ব্যাখ্যা করলেন অ্যাপেলো গ্নেগালসের কার্ডিও থোরাসিক অ্যান্ড ভাসক্যুলার সার্জারি বিভাগের অধিকর্তা সুশান মুখোপাধ্যায়

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

বছরে অন্তত একটা দিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করান। সুস্থ থাকার বিধান হিসাবে এই দাওয়াই দিলেন চিকিৎসক জয় বসু। তাঁর মতে, জীবনশৈলির দ্রুত পরিবর্তনের জন্য বাড়ছে হৃদরোগীর সংখ্যা। এই অস্ত্রোপচার অনেক বিজ্ঞানসম্মত এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত হচ্ছে। কিন্তু মানুষকে সুস্থ রাখতে উদ্যোগী হতে হবে নিজেকেই। 

কীভাবে বিজ্ঞানসম্মত এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত হচ্ছে বাইপাস সার্জারি, কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পর্দায় তা ব্যাখ্যা করলেন অ্যাপেলো গ্নেগালসের কার্ডিও থোরাসিক অ্যান্ড ভাসক্যুলার সার্জারি বিভাগের অধিকর্তা সুশান মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “চিরাচরিত অস্ত্রোপচারে যেখানে বুকে অন্তত ১০“-১২” কাটতে হত, ‘মিনিমালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি’ (এমআইসিএস)-তে সেটা কাটতে হচ্ছে ইঞ্চি দুইয়ের মত। খরচ সামান্য বেশি হলেও রোগীর রক্তক্ষরণ এবং কষ্ট হচ্ছে কম। আরোগ্য হচ্ছে দ্রুত। ব্যস্ততার জীবনে নিছক উপশমের জন্য কে আর শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে চান?
এমআইসিএস আরও আধুনিক হয়েছে বাইল্যাটটারাল ইন্টারনাল ম্যামারি আর্টারি (বিমা)-র মাধ্যমে। পূর্বভারতে এ ব্যাপারে তাঁরাই পথিকৃত দাবি করে সুশানবাবু সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের লক্ষ্য ১০০ শতাংশ আরোগ্য। যাঁদের অস্থিরোগ আছে বা সত্তরোর্ধদের শারীরিক সীমাবদ্ধতার জন্য এ রকম অস্ত্রোপচার অত্যাবশ্যক। চিরাচরিত প্রথায় অন্যত্র অস্ত্রোপচার করা এক রোগীর ক্ষতের অবস্থাও পর্দায় দেখান চিকিৎসকরা। 
এই সঙ্গে তাঁরা বলেন, আগে সাধারনত বয়স্করাই হৃদরোগে আক্রান্ত হতেন। এখন মহিলার এবং কম বয়সীরা তুলনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। জয়বাবু বলেন, “আমি কর্মসূত্রে দীর্ঘকাল চেন্নাইয়ে ছিলাম। সেখানে নিয়মিত ট্রেনযাত্রীদের অনেকেই স্টেশনে ওজন মাপার যন্ত্রে নিজেদের ওজন মাপেন। লক্ষ্য রাখেন এর পরিবর্তনের ওপর। এই সচেতনতার এক শতাংশ পূর্ব ভারতে দেখা যায় না। এখানে অসুস্থ হলেই লোকে চিকিৎসকের কাছে যান। আমরা কম খরচে স্বাস্থ্যপরীক্ষার আধুনিক প্যাকেজ চালু করেছি। তাতেও লোকের আগ্রহ কম। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং নিয়মমাফিক জীবনাচারণ ও খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে আমাদের অনীহা। এ সবের ওপর গুরুত্ব না দিলে ফল ভোগ করতে হবে নিজেদেরই। সতর্কতাই আমাদের প্রথম এবং শেষ কথা হওয়া উচিত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *