নাটকের যবনিকা টেনেছেন ভূপেন বরা
শিলচর: সত্যিই কি পদত্যাগ করবেন বরাকের তিন কংগ্রেস বিধায়ক তাদের সাংগঠনিক পথ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন
তিন বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ মিসবাবাহুল ইসলাম লস্কর ও খলিল উদ্দিন মজুমদার। কিন্তু তাদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন কলিতা। গ্রহণ না করার পরেও কি তারা পদত্যাগে অনড় থাকবেন। সেটাই বড় প্রশ্ন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে এ ধরনের কোন সম্ভাবনা নেই।
শিলচর জেলা কংগ্রেস সভাপতি পদে অভিজিৎ পাল কে নিয়োগ করায় অত্যন্ত ক্ষুব্দ কমলাক্ষ্য। তার একেবারেই পছন্দ ছিল না অভিজিৎ পাল কে ।আর সেই অভিজিৎকে কিনা করা হলো শিলচর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। একইভাবে মিসবাহুল ইসলাম লস্করও অভিজিতের উপর ক্ষুব্ধ।
নানা কারণে তার এই ক্ষোভ রয়েছে। অভিজিৎ দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, জেলা কংগ্রেসের কোন কর্মসূচিতে থাকবেন না। তাই তারা তিনজন মিলে ঠিক করেন কংগ্রেসের সংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। তাদের মতামত না নিয়েই সভাপতির নিয়োগ করা হয়েছে শিলচরে এটাই তারা বলছেন। কিন্তু ভূপেন বরা তাদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেন নি। তিনি বলেছেন যা সিদ্ধান্ত না সেটা হাই কমান্ড নেবে। কমলক্ষ বলেছেন হাই কমান্ড যা বলবে সেটা তারা মাথা পেতে নেবেন।
তাহলে এই পদত্যাগ কেন এটাই হল বড় প্রশ্ন।
আসলে এ ধরনের একটা সিদ্ধান্ত না নিলে সমর্থকদের কাছে মুখ দেখাতে পারছিলেন না তিন নেতা। তিন বিধায়ককে টপকে অভিজিৎ কে সভাপতি করা হয়ে যাবে এটা ভাবতে পারেননি কমলাক্ষরা। তাই অনেকটা রাগে হতাশায় এই পদত্যাগ। আর এটা যে রাগে পদত্যাগ এটা বুঝতে পেরে তোদের সভাপতি গ্রহণ করেননি ইস্তফা পত্র টা।
আসলে পুরো ব্যাপারটাই হলো গিয়ে সমর্থকদের কাছে নিজের একটা অস্তিত্ব প্রমাণ করা। যা করছেন বরাকের তিন বিধায়ক। আসলে তারা পদত্যাগ করবেন না। এ ধরনের পদত্যাগ পত্র দেওয়ার অসংখ্য নজির রয়েছে। কমলাক্ষ বলেছেন তিনি বিষয়টি হাই কমান্ডের উপর ছেড়ে দিয়েছে ন। কেন পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার আগে কি তিনি এটা জানতেন না।
হাই কমান্ড যদি বিধায়কদের কথায় জেলা কংগ্রেস সভাপতি ঠিক করতে হয় তাহলে তার আছেন কেন। মানুষ তো হাইকমান্ড কে মানবে না। কংগ্রেস বা বিজেপির মত জাতীয় দল গুলোর নিয়মই হচ্ছে সবকিছুকে কেন্দ্রীভূত করে রাখা। অর্থাৎ সেন্ট্রালাইজেশন করে রাখা যাতে কর্তৃত্ব টা হাই কমান্ডের হাতে থাকে। তাই অভিজিত পালকে সভাপতির করা নিয়ে যতই আপত্তি থাকুক বিধায়কদের অনেক সময় হাই কমান্ড এটা পাত্তা দিতে নাও দিতে পারে।
তাই এই তিন বিধায়ক আসলে যে পদে আছেন সেই পদেই থাকবেন। তারা তাদের পদ ছাড়বেন না। আসলে ভূপেন বরা পুরো নাটকটার উপর একটা যবনিকা টেনে দিয়েছে। তিনি পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেন নি। যদি করতেন তাহলে বুঝা যেত একটা কিছু হচ্ছে। কিন্তু তিনি যেহেতু পদত্যাগ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি তাহলে এটা ধরে নিতে হবে বিষয়টা মিটমাট হয়ে যাবে।