নিগমের আয়তন হবে ১০১ বর্গ কিলোমিটার
শিলচর পুর নিগমের এলাকা চূড়ান্ত হয়ে গেল। ১০১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হবে শিলচর পুর কর্পোরেশন। এটি আসামের দ্বিতীয় পুর কর্পোরেশন।শেষ পর্যন্ত সাংসদ রাজদীপ রায়ের প্রস্তাব মতো শিলচর পুরনিগমের এলাকা নির্ধারণ হচ্ছে।
আজ জেলাশাসকের অফিসে সর্বদলীয় বৈঠকের পরে এই আভাসটাই পাওয়া গেল। আর ক্ষেত্রে সাংসদকে আগাগোড়া সাহায্য করে গেলেন এ আই ইউ ডি এফ বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভুইয়া। বিরোধীরা কোন প্রস্তাব আনলেই জবাব দিতে লেগে যান তিনি। এ নিয়ে একসময় কংগ্রেস বিধায়ক মিসবাহু ইসলাম লস্করের রোষের মুখে পড়তে হয় তাকে। মিসবাহুল ইসলাম তাকে রেগে বলেন, “আপনি কেন আমার কথার জবাব দিচ্ছেন। আমি ডিসিকে বলছি। ” সিপিএমের পক্ষ থেকে ভজন্তিপুর এলাকাকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। কিন্তু দাবিই সার। অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না ভজনতিপুর জিপি।
কিন্তু এত কিছুর পরেও ধরেই নেওয়া যায় সাংসদ যে ম্যাপ তৈরি করেছেন সেটাই সামান্য কিছু অদল বদল করে অনুমোদিত হচ্ছে। তবে এবার এই অনুমোদনটা করানো হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে। গত ১৬ আগস্ট জেলা শাসক যে ম্যাপ পাঠিয়েছেন তাতে তিনি সর্বদলীয় বৈঠকের কোন অনুমোদন নেননি। এ নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল। পরে বিষয়টিতে সাংসদ রাজদীপ রায় হস্তক্ষেপ করেন।
তিনি নিজে একটি ম্যাপ পাঠান কমিশনারের কাছে। এখন পর্যন্ত যা খবর এই ম্যাপটাই অনুমোদন পেয়েছে। অর্থাৎ পুরো দুধপাতিল জিপি থেকে শুরু করে দক্ষিণে বাইপাস পর্যন্ত পুরনিগমের এলাকা হিসেবে গণ্য হবে। তোপখানা জিপিও অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রাজদীপ রায়, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের পক্ষে কিশোর ভট্টাচার্য, অতনু ভট্টাচার্য,
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সজল বনিক। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংসদ জানান,'” সবার মতামত নেওয়া হয়েছে। আজকের বৈঠকে সব দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবার প্রস্তাব নেওয়ার পর একটা ম্যাপ তৈরি করা হবে বলে আমি আশাবাদী “। কংগ্রেস বিধায়ক মিসবাহুল ইসলাম লস্কর বৈঠকের ফলাফল নিয়ে খুশি নন। তিনি জানান, এরা বারবার বৈঠক ডাকছে কোন কিছু স্থির করতে পারছে না। আসলে মিসবাহুলের আপত্তি অগ্রাহ্য করে দুধপাতিল এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই সম্ভবত বাইরে বেরিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন বিধায়ক। তবে বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর প্রস্তাবিত কিছু এলাকা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এমন একটা সময় এই সভা করা হলো যখন বর্ধিত পুর করের প্রস্তাব নিয়ে ক্ষোভ চলছে শহর জুড়ে। আজকের সভায় গৃহীত প্রস্তাব ও ম্যাপ নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের কমিশনারের কাছে পাঠানো হবে। আসলে এতোটুকু জল গড়াতো না।গত ১৬ আগস্ট যে ম্যাপ পাঠানো হয়েছিল সেটা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠে। এবার অবশ্য আপত্তির আর কোন অবকাশ রইল না। সর্বদলীয় সভায় প্রস্তাবিত ম্যাপ পাস করিয়ে নেওয়া হল। সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে ,সবার প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রশাসন ম্যাপ তৈরি করবে।
Advertisement | KRC Foundation