ত্রান শিবিরে আটক কুকিরা মনিপুর সরকারের সাহায্য নিতে চাইছেন না

2 - মিনিট |

তাদের ধারণা মনিপুর সরকারের মদতেই এই ঘটনাটা ঘটেছে

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

শিলচর: লক্ষ্মীপুর এলাকার বিভিন্ন ত্রান শিবির থেকে এখনো সরছেন না শরণার্থীরা। মনিপুর থেকে আসা কুকিদের সাহায্যের জন্য কয়েকটি শিবির খোলা হয়েছে লক্ষীপুর এলাকায় জুড়ে। শিবিরে গিয়ে এদের সাহায্য করতে অনেকেই যাচ্ছেন। কিন্তু শরণার্থী হলে কি হবে! সবার কাছ থেকে তারা সাহায্য নেন না।এরা বেশিরভাগ কুকি সম্প্রদায়ের।তবে নাগাও আছেন। কথাবার্তায় বুঝা যায় অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত। মৈতেইদের এসটি স্ট্যাটাস দেওয়ার হাইকোর্টের এই আদশ তারা মানতে রাজি নন সেটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

প্রাণের ভয়ে সবকিছু ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন । কিন্তু ভেতরে জেদটা ঠিকই রয়েছে। তারা মনিপুর সরকারের কোন সাহায্য নিতে চান না। শুধু মনিপুর নয় মনিপুর রাজ্য থেকে কোন ত্রাণ এলে তারা গ্রহণ করবেন না। আসামের যেকোন সাহায্য তারা অবশ্যই গ্রহণ করবেন। আসাম থেকে সংগঠনগুলো যা দিয়েছেন সব কিছুই তারা নিয়েছেন।

তাদের সাহায্য করার জন্য গিয়েছিল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। প্রথমেই জিজ্ঞেস করা হয় কোন জায়গা থেকে আসা হয়েছে। যদি মণিপুরের হয় তাহলে সাহায্য নেবেন না। শরণার্থীদের এতটাই বিদ্বেষ মনিপুর সরকারের বিরুদ্ধে। তাদের ধারণা মনিপুর সরকারের মদতেই এই ঘটনাটা ঘটেছে। আদেশটা হাইকোর্টের হলেও তাদের বদ্ধমূল ধারণা এর পেছনে মনিপুর সরকারের কোন কারসাজি আছে। এখন অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন ।

জিরবামে কার্ফু শিথিল করা হয়েছে ভোর পাঁচটা থেকে। তাই অনেকেই ফিরে যাচ্ছে অনেকে আবার থেকেও যাচ্ছে ন। এ বিষয়টা নিয়ে লড়াই যে এখনো শেষ হওয়ার নয় এটা এখন স্পষ্ট তাদের বক্তব্য থাকে। আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরও রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটতে পারে মণিপুরের পাহাড়ে।শিবিরে যারা আছে ন তোদের চোখে মুখের যে ভাষ্য ,তাতে একটা প্রতিশোধ স্পৃহার ইঙ্গিত মিলল।

সাম্প্রতিক এইসব হিংসাত্মক ঘটনা যে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা বিভেদের প্রাচীর গড়েছে সেটা ভেঙে ফেলা অত্যন্ত কঠিন কাজ। না হলে সব‌কিছু ছেড়ে এসে মনিপুরের সাহায্য নেব না এই কথা কি বলতে পারে কেউ। অতএব মণিপুরের হিংসার ঘটনার জড় অনেক গভীরে প্রোথিত। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *