জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের মাথায় হাত।
সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী হলেও শিক্ষকরা তার বিপরীত দিকে পরিচালিত হচ্ছে বলে মন্তব্য প্রাথমিক শিক্ষকদের। শনিবার শিলচর গান্ধী ভবনে শিলচর মহকুমা প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনী আয়োজিত এক সভায় জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ প্রবর্তনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এদিন সংস্থার রাজ্যিক সম্পাদক রাতুল চন্দ্র গোস্বামী মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বর্তমান সরকারের স্বজন-পোষন নিতীর উর্দ্ধে উঠে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
সভায় মত বিনিময় করতে গিয়ে বিভিন্ন শিক্ষক সহ সংস্থার কর্মকর্তারা জানান যে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতি দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য না পুঁজিবাদীদের জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে,তা নিয়েও এদিন বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। ভারতবর্ষের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে জাতীয় শিক্ষানীতি কতটুকু লাভদায়ক তা নিয়েও এদিন আলোচনা করেছেন অনেকেই।
ক্ষোভের সাথে শিক্ষকরা জানান যে, বর্তমান সরকার শিক্ষার ব্যবসায়ী করণ ও বানিজ্য করণের প্রচেষ্টায় মেতে উঠেছে। এমতাবস্থায় জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ দেশে বাস্তবায়ন হলে আগামীতে শিক্ষা ব্যবস্থার অস্তিত্ব রক্ষা এক বিশাল প্রশ্ন চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে বলেও এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংস্থার কর্মকর্তারা। তাঁরা আরও জানান যে ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয় যেখানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অন্যদিকে রাজ্যের ৪০ হাজারেরও অধিক ঠিকাভিত্তিক শিক্ষকদের নিরাপত্তা প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।
শুধু তাই নয় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্য অর্থনৈতিকে কোন পুঁজিপতির কাছে হস্তান্তর করারও প্রয়াস চালাচ্ছে রাজ্য সরকার বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন তাঁরা। জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষার অধিকারকে খর্ব করে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজি ভাষার প্রচলন জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সংস্থার কর্মকর্তারা। জাতীয় শিক্ষানীতি সহ অন্যান্য বিভিন্ন দাবি আদায়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে আগামীতে রাজ্যব্যাপী বৃহৎ শিক্ষক আন্দোলন গড়ে তোলার এদিন কড়া ভাষায় হুসিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
Advertisements | 5E For Success