নেই ওয়ার্ক অর্ডার ,৮টি রাস্তার শিলান্যাস করলেন সোনাইর বিধায়কের

2 - মিনিট |

তাহলে চমক সৃষ্টির জন্য বিধায়ক কি এই শিলান্যাস করলেন – শুধুই কি লোক দেখানো শিলান্যাস ?নাকি কাজ হবে

কেআরসি টাইমস বারাক ভ্যালি ব্যুরো

শিলচর: পূর্ত বিভাগকে অন্ধকারে রেখে কোন ধরনের ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াই আটটি রাস্তার শিলান্যাস করে ফেললেন সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূঁইয়া। এবং প্রতিটি শিলান্যাসে তার সঙ্গে ছিলেন পূর্ত বিভাগের কার্যনির্বাহী বাস্তকার। আশ্চর্য হওয়ার কারণ শুধু এটাই নয় ।এইসব শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে তাতে স্বাক্ষর রয়েছে এআইইউএফের সাধারণ সম্পাদকের।

এটাতো সরকারি অনুষ্ঠান ।দলীয় অনুষ্ঠান নয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। এসব আমন্ত্রণ পত্রে স্বাক্ষর থাকার কথা সরকারি অফিসারের। কিন্তু না সেখানে কিনা স্বাক্ষর রয়েছে এ আই ইউ ডি এফের সম্পাদকের। এমন আশ্চর্য ঘটনা ঘটছে সোনাইয়ে।

গত ৭ ও ৮ জুন সোনাই বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে মুখ্যমন্ত্রী পখিপথ নির্মান প্রকল্পের অধিনে যে আটটি রাস্তার কাজের শিলান্যাস হয়েছে সেই কাজগুলোর ওয়ার্ক অর্ডার ঠিকাদাররা আজ অবধি পাননি ।তাহলে চমক সৃষ্টির জন্য বিধায়ক কি এই শিলান্যাস করলেন । শুধুই কি লোক দেখানো শিলান্যাস ?নাকি কাজ হবে।

প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবে উঠে আসছে।কারন এমন দৃষ্টান্ত হাতের কাছেই আছে। এর আগেও বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভুইয়া সোনাই’র কয়েকটি স্হানে ওয়াটার টেংক নির্মানের শিলান্যাস করেছিলেন সেই সময়ের জেলাশাসক কীর্তি জলীকে নিয়ে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ অবধি সেই ওয়াটার টেংক গুলোর কাজ শুরু হয়নি । হবে হবে কেউ জানেন না। বাহ আদৌ হবে কিনা এটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

গোটা ব্যাপার নিয়ে ঠিকাদারা অসন্তুষ্ট। কাজের টেন্ডার চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে ডাকা হয়েছিল । কয়েকটা কাজ এক করে এক একটি প্যেকেজ তৈরি করা হয়েছিল । টেকনিক্যাল ও ফিনান্সিয়াল বিড কোয়ালিফাই করার পর যারা এল ওয়ান হয়েছিলেন তারাই কাজ পাচ্ছেন । এই অবস্থায় নির্বাচিত ঠিকাদাররা গুয়াহাটি গিয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ওয়ার্ক অর্ডার আনতে চেয়েছিলেন ।

নাম গোপন রাখার শর্তে এক ঠিকাদার জানালেন, বিধায়ক তাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিসে যেতে বারণ করেছেন । তিনি চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে আসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন । তাই ঠিকাদাররা বিধায়কের উপর ভরসা করেই বসেছিলেন। আর এদিকে চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে ঠিকাদারদের কাছে ফোন আসছে । অফিস কতৃপক্ষ বলছে সরাসরি ঠিকাদারদের এসে ওয়ার্ক অর্ডার নিতে হবে ।

এভাবে ভাবে ঠিকাদাররা পড়েছেন মুশকিলে। বিধায়কযে চটানো যাবে না আবার অফিসের কথা মানতে হবে কোন দিকে যাবেন তারা। আর এই দুটো না মধ্যে একের পর এক শিলান্যাস হয়ে গেল। এটা হল শিলান্যাসে পর্বের বাস্তব চিত্র। আর পুরো বিষয়টাতে অন্ধকারে রাখা হয়েছে কার্যনির্বাহী বাস্তুকার যোগেন্দ্র দাস কে। তাকে সঙ্গে নিয়ে শিলান্যাস করা হয়ছে। এমন সব আশ্চর্য ঘটনা ঘটছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *