কাছাড়ের মধুভান্ডে এত আগ্রহ!
শিলচর : বদলি হয়েছিলেন প্রায় দুমাস হয়ে গেল। কিন্তু আদেশ মানছিলেন না। তাই বেতন আটকে দেওয়া হলো কাছাড়ের অসামরিক সরবরাহ বিভাগের সুপারিনটেনডেন্টের। দুই দুইবার বদলির আদেশ ।অথচ তিনি সেটা মানতেই চাইছেন না। তাই শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তার বেতন আটকে দেওয়া হলো।
সারা রাজ্যে তিনিই এরকম অফিসার এমন নন। মোট ১৫৩ জন সুপাররিনটেনডেন্ট ও ইন্সপেক্টরদের বদলি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২২ জন সুপারিনটেনডেন্ট ও ইন্সপেক্টর তাদের জায়গা ছাড়তে চাইছেন না। এই ২২ জনের তালিকায় রয়েছেন শিলচরের ফুড এবং সিভিল সাপ্লাইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট প্রকাশ কুমার কলিতা।
এ নিয়ে অনেক অভিযোগ গেছে। তাই গত ১৩ সেপ্টেম্বর সরবরাহ বিভাগে কমিশনার আনন্দ কুমার দাস প্রত্যেক জেলার ট্রেজারি অফিসারদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন এই ২২ জনের বেতন যেন আটকে রাখা হয়। কারণ তারা যেখানে তাদের বদলি হয়েছেন, সেখানে এখন পর্যন্ত জয়েন করেননি। এই তালিকায় রয়েছেন শিলচরের সুপারিনটেনডেন্ট প্রকাশ কুমার কলিতা। তাকে বিলাসিপাড়ায় বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখানে যেতে চাইছেন না। তার বদলির আদেশের প্রায় দুমাস হয়ে গেল কিন্তু তিনি শিলচর থেকে সরতেই চাইছেন না। শিলচর ছেড়ে বিলাসিপাড়া !মানা যায়?
শিলচরের মধুকুণ্ড থেকে সরতে তার ইচ্ছা ছিল না। এখন সরকার বাধ্য হয়ে তার বেতন আটকে দিল। কিছু কিছু অফিসার সরকারি আদেশ অগ্রাহ্য করে কোন সময় আদালতের সাহায্য নিয়ে ,বা কোন সময় উপর তলার সাহায্য নিয়ে চান তাদের বদলি আটকে দেন। সাপ্লাই অফিসে দুর্নীতি নিয়ে বরাবর অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
আসলে শিলচরে যে ব্যক্তি ডিডিএসের চেয়ারে বসেন তিনি সহজে সরতে চান না। কেন শিলচরের প্রতি এত আকর্ষণ ,অনুরাগ অফিসারদের ?বোঝা বড় মুশকিল। না হলে যেখানে সরকারিভাবে তাকে বদলি করা হয়েছে কিন্তু তিনি যেতে চাইছেন না। একবার তিনি স্টে অর্ডার আনতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি। সরকারি আদেশ অমান্য করে তিনি কোন শক্তির বলে শিলচরের এই চেয়ারে বসে আছেন সেটাই বড় প্রশ্ন।তার এই মনোভাবের জন্য বিভাগের কমিশনার শিলচরের ট্রেজারি অফিসারকে লিখতে বাধ্য হলেন যে, সুপারিনটেনডেন্টের বেতনটা আটকে রাখা হোক।
যখন বেতন আটকা পড়বে তখন তারা নিজেদের বদলির স্থানে যেতে পারবেন। কিন্তু তারপরও যেটা বিশ্বস্ত সূত্রের খবর ,সেটা হল তিনি চাইছেন যাতে বেতন আটকা থাকা অবস্থায় কোনভাবে এখানে যদি টিকে থাকা যায়। এই ফাকে যদি বদলির আদেশ ফের আটকানো যায়। কথায় আছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে অফিসাররা প্রথমে আসতে চান না। আর এলে যেতে চান না। প্রকাশ চন্দ্র কলিতা কি এই শ্রেণি ভুক্ত!প্রশ্নটা উঠছে সর্বত্র।
১৫৩ জন অফিসার বদলি হয়েছেন তাদের মধ্যে সামান্য ২২ জনই শুধু সরকারের আদেশ শুনতে চাইছে না। আর কি আশ্চর্য শিলচরের পরেশ কলিতাও আছেন। এখন দেখা যাক বেতন বন্ধ হওয়ার পর প্রকাশ তার প্রতিভার প্রকাশ কিভাবে করবেন।