বরাকের এক সংখ্যালঘু বিধায়ক এখন কয়লা- সুপারির মূল নিয়ন্ত্রক!
বরাক উপত্যকায় কয়লা ও বার্মিজ সুপারি সিন্ডিকেটের নতুন নিয়ন্ত্রক বিরোধী দল ইউডিএফের এক বিধায়ক! কয়লা ও সুপারি সিন্ডিকেট এখন চলছে ওই বিধায়কের ইশারায়! কে কত টাকা পাবে,কার কতটা লরি ঢুকবে,এসব বিষয় এখন ঠিক করে দিচ্ছেন ওই বিধায়ক। এ জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকাও জমা পড়েছে তাঁর ঠিক করে দেওয়া লোকের হাতে!
বর্ষার মরশুম শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে মেঘালয় থেকে কয়লা আমদানি। মেঘালয়ের কয়লা ও বার্মিজ সুপারি সিন্ডিকেট ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে কাছাড়ের অসম-মেঘালয় সীমান্ত এলাকার দিগরখাল এলাকার চেক্ গেট উঠে গিয়েছে এ মাসেই। এরপর থেকেই কয়লা ঢোকা শুরু হয়ে গিয়েছে কাছাড়ে। চোরাগোপ্তা ভাবে ঢুকতে শুরু করেছে কয়লা। চলছে সুপারি সিন্ডিকেটের রমরমা ব্যবসাও।
কয়লা বার্মিজ সুপারি সিন্ডিকেটের ব্যবসা কোনও নতুন বিষয় নয়! বরাবরই এই দুই পন্যের ব্যবসা হয় বুক ফুলিয়ে। কিন্তু এখন এই ব্যবসা শুরু হয়েছে কর্পোরেট স্টাইলে। আদতে কয়লা ও বার্মিজ সুপারি হাত বদল হয়ে ঢুকে পড়ে সংশ্লিষ্ট কর্পোরেট কোম্পানির মালিকদের গুদামে। বরাবরই এই দুই জিনিসের ব্যবসায় খাটে কোটি-কোটি টাকা। সব কাজ তো আর নিয়ম মেনে সরকারি ট্যাক্স দিয়ে হয় না! তাই এসব বিষয় সামাল দেওয়ার ঠিকা নিয়েছেন ওই ইউডিএফ বিধায়ক।
এ দিকে সার, কয়লা ও সুপারি সিন্ডিকেটের সাব কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়েছে শাসক দলের কাটিগড়া বিধানসভা এলাকার এক নেতাকে! অসম-মেঘালয় সীমান্ত এলাকা দিয়ে লরি চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়ে তদারক করবেন শাসক দলের ওই নেতা! স্থানীয়ভাবে আসা আরও বিভিন্ন সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
সব মিলিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট, আগামী দিনে বরাকের বুকে ফের জাঁকিয়েই শুরু হচ্ছে কয়লা,সার, সুপারির সিন্ডিকেটের কাজ-কারবার! আর এই সিন্ডিকেটের মধ্যমণি হয়ে থাকবেন ইউডিএফের এক প্রভাবশালী বিধায়ক! কয়লার ময়লা এবার লাগছে ইউডিএফ দলের শরীরেও! এই দাগটা সহজে মেটার নয়।