সায় নেই হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদ , মহাসঙ্ঘের
শিলচর : ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ার পর থেকেই বরাক উপত্যকায় একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে। এই মুহূর্তে বরাক উপত্যকা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠন করা হলে অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে উপত্যকার বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের। তাই এই দাবি অযৌক্তিক বলে মনে করছে হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদ অসম এবং বিশ্ব হিন্দু মহাসঙ্ঘের কাছাড় জেলা কমিটি।
পৃথক রাজ্য গঠন করা হলে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায় এক দশকের মধ্যে ” ভাসমান জনগোষ্ঠীতে” পরিণত হতে পারে বলে মনে করছে এই দুই সংগঠন।বুধবার হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নীতিশ ভট্টাচার্য এবং বিশ্ব হিন্দু মহাসঙ্ঘের কাছাড় জেলা কমিটির সভাপতি সুবীর দত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, বরাক উপত্যকা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠন এক অশনি সংকেত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য।
অতীতে যেমন গোটা পূর্ব পাকিস্তান থেকে ছিন্নমূল উদ্বাস্তু হয়ে ভারত ভূখন্ডে এসে থিতু হতে হয়েছিল হিন্দু সম্প্রদায়কে, তেমনি এক দশকের মধ্যে বরাক উপত্যকা থেকে ফের উদ্বাস্তু হতে হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়কে। তাই বরাক উপত্যকা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি কোনও অবস্থাতেই মেনে নিতে পারবে না হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদ এবং বিশ্ব হিন্দু মহাসঙ্ঘ। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের আগামী প্রজন্মের স্বার্থেই এই হঠকারী চিন্তা ভাবনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে এই দুই সংগঠনের কাছাড় জেলা কমিটি।
পাশাপাশি, হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদ এবং বিশ্ব হিন্দু মহাসঙ্ঘের কাছাড় জেলা কমিটি মনে করে বরাক উপত্যকা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠন করা হলে বাড়তে পারে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ। পাক মদতপুষ্ট কিছু জেহাদি সংগঠনও সক্রিয় হয়ে পড়বে পৃথক রাজ্য গঠন করা হলে। ঘটবে লাভ জেহাদ এবং ল্যান্ড জেহাদের ঘটনা।
এই সব বিষয় মাথায় রেখেই এই দুই সংগঠনের কাছাড় জেলা কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বরাক উপত্যকা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি নস্যাৎ করার জন্য। এই বিষয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড.হিমন্তবিশ্ব শর্মার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদ অসম এবং বিশ্ব হিন্দু মহাসঙ্ঘের কাছাড় জেলা কমিটি।