শিলচরে রণজিৎ, করিমগঞ্জে নাসির উদ্দিন হাইলাকান্দিতে শহিদুল জেলা সভাপতি
শিলচর: যুব কংগ্রেস নির্বাচনের ফলাফলে এবার উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা ঘট ল। প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলেন যুবের আলম। এবার প্রদেশ যুব কংগ্রেসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে সভাপতি নির্বাচিত হল। তবে সবচাইতে বেশি আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে বরাক উপত্যকায়। অসম প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের কোন প্রার্থী জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি হতে পারলেন না। বরাকের তিন জেলাতেই তার পছন্দের প্রার্থীরা শোচনীয়ভাবে হেরেছেন।
শিলচর যুব কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন রনজিত দেবনাথ। এখানে তিন নম্বর স্থানে আছেন কমলাক্ষ ঘনিষ্ঠ পল্লব সিং যাদব। হাইলাকান্দিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শহিদুল ইসলাম বড়ভূঁইয়া । এখানে কমলাক্ষের পছন্দের প্রার্থী আরশাদ হোসেন মজুমদার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ন। আর সবচাইতে যেটা চমকে যাওয়ার মত ঘটনা সেটা হল তার নিজের জেলা করিমগঞ্জে কমলাক্ষ ঘনিষ্ঠ প্রার্থী চার নম্বর স্থানে রয়েছেন। করিমগঞ্জ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাসির উদ্দিন। কমলাক্ষ ঘনিষ্ঠ মাজুহিদুল ইসলাম চৌধুরী হয়েছেন চার নম্বর।
শিলচর থেকে রাজা লস্কর প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে ন। যুব কংগ্রেসের নির্বাচনের ফলাফল বিকেলে ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু একটি আলোচনা এটা ঘটলো কিভাবে। বরাক কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমলাক্ষের প্রার্থীরা কেন এভাবে পিছিয়ে পড়লেন। অর্থাৎ তিনি যে এখন আর বরাক কংগ্রেসের অবিসংবাদিত নেতা নন সেটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। এই মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। আর এটাই হল মোদ্দা কথা।
শিলচর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পদে অভিজিৎ পালের মনোনয়ন, করিমগঞ্জের ইফতার পার্টিতে বরাকের ব্লক কংগ্রেস সভাপতিদেব অনুপস্থিতি, ওসব ঘটনায় তার কর্তৃত্ব হ্রাস পাওয়ার চিত্রটাই ফুটে উঠছে। বিশেষ করে তার নিজের জেলায় তার প্রার্থী চার নম্বরে থাকাটা বিস্ময়কর ঘটনা। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই কমলাক্ষের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তার বিরোধীরা।