সরকার স্বাস্থ্য সেবা প্রসারিত করতে শিলচর মেডিকেল কলেজ কে আধুনিক করে তুলতে কার্পণ্য করছে না
বর্তমান শিলচর শহরের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে।এক সময় শিলচর শহরের এমন কজনা চিকিৎসক ছিলেন যাদের সংস্পর্শে আসতেই মুমুর্ষ রোগীদের ও প্রাণ সঞ্চার হয়ে যেতো শুধুমাত্র তাদের অমায়িক ব্যবহার ও কথার মাধ্যমে।এমন ও তথ্য শিলচর শহরের প্রবীণ নাগরিকদের মুখে শুনেছি প্রায় মরনাপন্ন রোগী কে চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকানোর পর সেই সব ঈশ্বর রূপি চিকিৎসক দেখলেন রোগীর অবস্থা বেগতিক তথাপি ও বলছেন না না চিন্তার কোনো কারণ নেই ওসব ছাড়বে।
এসব কথা রোগীর কানে পৌঁছা মাত্র রোগীর মনোবল চাঙ্গা হয়ে যেতো আর রোগীর সাথে আসা আত্মীয় স্বজনের ওর মনে উৎফুল্লতা দেখা যেতো।এখন আর সেটা দেখা তো কল্পনাতীত, প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী বরাক উপত্যকার মফস্বল এলাকা ও পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা রাজ্য থেকে শিলচরের নার্সিং হোম গুলোতে ভীড় জমান উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা পেতে। কিন্তু দেখা গেছে ৯০% চিকিৎসক রোগীর গায়ে হাত দিয়ে বলছেন এতোদিন কোথায় ছিলেন , এক্ষুনি ভর্তি করুন।
স্বভাবতই প্রশ্ন উত্থাপন হবে তথাকথিত ভগবান রুপি চিকিৎসক যখন বলছেন ভর্তি করাতে হবে। এসব বাণিজ্যিক কথা শুনে মরণাপন্ন রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনের নাড়ীর গতি বাড়িয়ে দেয়। এখানে উল্লেখ্য যে কোনো মানুষ অমর নন, এখানে উল্লেখ্য যে এই শহরেরই আগের চিকিৎসক গণ এধরনের বাণিজ্যিক চিকিৎসা প্রদান করতেন না তাই তাদের নাম আজ ও স্মরণীয় হয়ে আছে।
বর্তমান শিলচর শহরের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ চেইন সিষ্টেমের মধ্য দিয়ে চলছে। সরকার স্বাস্থ্য সেবা প্রসারিত করতে শিলচর মেডিকেল কলেজ কে আধুনিক করে তুলতে কার্পণ্য করছে না। বিভিন্ন বিভাগে নূতন নূতন চিকিৎসক নিযুক্তি দিচ্ছেন দেখা যাচ্ছে মেডিকেল কলেজে ও উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়, কিন্তু সরকারি তো, দায়সারা গোছের চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে সাধারণ মানুষ দের বিদেয় করা হচ্ছে, জুনিয়র চিকিৎসক গণ প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী দেখেন কিন্তু যাদের নামের আগে প্রফেসর ও বিশেষজ্ঞ এটে গেছে তারা তো দুপুর বারোটায় হাজিরা খাতায় সই করে বেরিয়ে পড়েন নার্সিং হোম গুলোতে।
এখানে লক্ষণীয় যে প্রতিটি নার্সিং হোমের চেম্বারের নাম ফলকে শিলচর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দের ছড়াছড়ি।এদিকে জনৈক রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ মেডিকেল কলেজে গিয়ে উন্নত মানের চিকিৎসা পাওয়া ভার। উন্নত মানের চিকিৎসা পেতে হলে নার্সিং হোম গুলোতে যেতে পরামর্শ দেন অধিকাংশ শিলচর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক গণ। অসহায় মানুষ উপায়হীন হয়ে তাদের পরামর্শ মেনে চলেছেন।
এখানে উল্লেখ্য যে বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থা এমন একটি পর্যায়ে পরিণত হয়েছে আপাত দৃষ্টিতে বোঝা মুশকিল। চিকিৎসক, ঔষধ কোম্পানী, নার্সিং হোম এবং ল্যাব যে সমান্তরাল ভাবে সাধারণ মানুষ দের টগছে তা ধরা পড়ে যখন বহিঃ রাজ্যে চিকিৎসা করাতে যান । অধিকাংশ মানুষই বলেছেন চেন্নাই সহ কলকাতা দিল্লির চিকিৎসক গণ এধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা পত্র ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলেন এটা কি ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা।
সেখানকার ল্যাব রিপোর্ট সম্পূর্ণ আলাদা আর সেই মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তুলেন। আর আমাদের দূর্ভাগ্য এই সমান্তরাল চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিচ্ছি।এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে এই সিষ্টেমের সাথে জড়িত বরাক উপত্যকার রাজনৈতিক নেতা ও একদল চিকিৎসক তাই এধরনের চিকিৎসা সেবার লাগাম টানা প্রায় অসম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সচেতন নাগরিক গন।