ভোটার তালিকায় এমন বড় বড় খামতি গুলো রয়েছে যেগুলো দেখলে আশ্চর্য হতে হয়
শিলচর: শিলচর পুর নিগমের খসড়া ভোটার তালিকায় অসংগতির আর শেষ নেই। অনেকেই ভেবেছেন ভোটার তালিকা বেরিয়েছে ঠিক আছে। পরে দেখা যাবে। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকায় এমন বড় বড় খামতি গুলো রয়েছে যেগুলো দেখলে আশ্চর্য হতে হয়। যে ওয়ার্ডে যারা ভোটার তারা তালিকা খুলে দেখেন তাদের ভোট অন্য ওয়ার্ডে।
আজ রংপুরের পাঁচটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারা ভৌগোলিকভাবে এবং পুর নিগমের নতুন ম্যাপ মতে যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা সেই ওয়ার্ডে ভোট দেবেন সেটাই স্বাভাবিক। দেখা যাচ্ছে অনেকের নাম অন্য ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় চলে গেছে। এবং এটা শুধু একজন দুজনের ক্ষেত্রে নয় প্রায় কয়েকশো মানুষের নাম এভাবে অন্য ওয়ার্ডে চলে গেছে।
যদিও খসড়া তালিকা কিন্তু এত অসংগতি কেন থাকবে প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। এখন রংপুরের মানুষ অভিযোগ করেছেন, তাদেরটা হয়তো একটা নিষ্পত্তি হবে। যে এলাকায় কেউ অতটা খুঁজে নেননি বা খসড়া ভোটার তালিকা দেখার তেমন প্রয়োজন অনুভব করেননি তারা তো দাবি আপত্তি জানাবেন না। তালিকাটা এভাবেই থেকে যাবে।
অতএব বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রংপুরের নাগরিকরা জেলা শাসকের কাছে যে আপত্তি জানিয়েছেন ,তাতে তারা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে দিয়েছেন তারা যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা সেই ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তাদের নাম নেই। আছে অন্য ওয়ার্ডে। এখান থেকে একটা কথা স্পষ্ট খসড়া তালিকা বানাতে গিয়ে খুব একটা মনোযোগ দিয়ে কাজ করা হয়নি। হয়তো তড়িঘড়ি করতে গিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
৪২টি ওয়ার্ডের প্রতিটি তে এভাবে সমস্যা দেখা দিয়েছে। খসড়া তালিকার কোন ভুল থাকলে দাবি আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ আজ চলে গেছে। এরপরেও যদি আপত্তি না হয়, যদি কোন ভুল থেকে যায় তাহলে কিন্তু সেটা সংশোধনের আর সুযোগ থাকছে না। প্রশাসন যদি এগুলো তালিকা একটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তাহলে নিজেরাই দোষটি গুলো খুঁজে বের করতে পারে।
শিলচরের পুর নাগরিকদের স্বার্থে এই বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা উচিত বলে মনে করছেন রংপুর পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুর কমিশনার দীপক দাস। তিনি বললেন, তার ওয়ার্ডের বহু নাম চলে গেছে অন্য ওয়ার্ডে । এমনকি তার নিজের নামও চলে গেছে।এট কিভাবে সম্ভব হল? এ প্রশ্ন শুধু দীপক দাসের নয় শহরের বহু ওয়ার্ড এই প্রশ্নটা উঠছে।