অন্তর্ভুক্ত হলো দুধপাতিলের একাংশ –
পুর নিগমের আয়তন হবে ৭৯.১২ বর্গ কিলোমিটার , জনসংখ্যা ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৪৫
অসমের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিলচর পুরো কর্পোরেশনে উন্নীত হচ্ছে। শিলচর ছাড়াও ডিব্রুগড়কে কর্পোরেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু ডিব্রুগড়ে পুরসভা নির্বাচন হয়ে যাওয়া এই মুহূর্তে এই শহর কর্পোরেশনে উন্নীত হচ্ছে না। তবে শিলচর এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গেছে। শিলচর পুর কর্পোরেশনের এলাকা নির্ধারণ সম্পর্কিত প্রস্তাব নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের কমিশনার সেক্রেটারির কাছে এই চূড়ান্ত প্রস্তাব পাঠিয়েছেন কাছাড়ের জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা।
কমিশনার সেক্রেটারির কাছে পাঠানো চিঠিতে জেলাশাসক বলেছেন , জনসংখ্যার ঘনত্ব ও অকৃষিকাজজনিত জীবিকার উপর ভিত্তি করে এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত এই প্রস্তাবিত ম্যাপে জেলাশাসক ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন শিলচর সদর সার্কেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেটেলমেন্ট অফিসার ও শিলচর পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার। চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তাবে শিলচর পুর কর্পোরেশনের মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা থাকবে ৩৮টি। নতুন এই ম্যাপ অনুসারে শিলচর পুর কর্পোরেশনের আয়তন থাকবে ৭৯.১১ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা হচ্ছে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৪৫ জন। গত ১৬ আগস্ট এই চূড়ান্ত তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।এখন আর এই ম্যাপে কোন অদল বদল ঘটবে না। এই ম্যাপ অনুসারে আগামীতে পুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুধপাতিল জিপির একটি অংশকে এই নতুন ম্যাপে স্থান দেওয়া হয়েছে। একটি ওয়ার্ডের সর্বনিম্ন জনসংখ্যা সাড়ে চার হাজার সর্বোচ্চ ১৫ হাজার।
বহু চর্চিত ও বহু আলোচিত এই পুর নিগমের ওয়ার্ড সংখ্যা আগের ২৮ থেকে বেড়ে ৩৮ হয়েছে। শিলচর পুরসভায় বর্তমানে ২৮ টি ওয়ার্ড রয়েছে। অর্থাৎ পুর নিগম হওয়ার ফলে আরো দশটি ওয়ার্ড বাড়লো। বেরেঙ্গা কনকপুর উত্তর কৃষ্ণপুর অম্বিকাপুর চতুর্থ খন্ড অম্বিকাপুর প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম, তারাপুর জিপি, দুধ পাতিল চতুর্থ ও পঞ্চম, রংপুর দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ খন্ড পুর নিগমে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যে এলাকা পুরনো নিগমের আওতায় আনা হয়েছে তার আয়তন ১০০ বর্গ কিলোমিটারও হচ্ছে
না। অর্থাৎ ভবিষ্যতে স্মার্ট সিটি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকল না। পুরনিগমের কোন কোন এলাকা অন্তর্ভুক্ত হবে এ নিয়ে যে খসড়া কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাদের অনেকের প্রস্তাবকে এই নতুন ম্যাপে মানা হয়নি। প্রথমে ঠিক হয়েছিল নিগমের এলাকা এনআইটি গেট পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বাইপাস পর্যন্তই শেষ।খসড়া কমিটির সদস্য বসরাজ দাস ও শিলচর ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান মঞ্জুল দেবের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি বিজেপি দলের জেলা কমিটির মতামত পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তবে এরপরও যে তালিকা তৈরি হয়েছে সেটাই যথেষ্ট। এতে আগামী ৫ /৬ মাসের মধ্যে শিলচরের পুর নির্বাচন হওয়া সম্ভাবনা এখন উজ্জ্বল হয়ে উঠল। এলাকা নির্ধারণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন পরবর্তী যে কাজগুলো আছে সেটা দ্রুতগতিতেই হবে।
Advertisement
এই নতুন ম্যাপে ওয়ার্ডের নামকরণ কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। রাঙ্গিরখাড়ি ও নিউ শিলচর এলাকার ওয়ার্ড গুলির নাম বদলাচ্ছে। মালুগ্রাম এলাকায় ওয়ার্ডের সংখ্যা কমছে। শহরের কয়েকটি ওয়ার্ড এবার আর থাকছে না। যেমন পুরনো ৬ নম্বর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থাকছে না। অনেকগুলো পরিবর্তন ঘটিয়ে শিলচর পুরসভার নতুন এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ম্যাপ এখন নগর উন্নয় ন মন্ত্রকের কমিশনারেটে পৌঁছে গেছে । তাই আর অদল বদল হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকছে না। তবে বিশেষ কোনো কারণ থাকলে কমিশনার নিজে এটা বদলাতে পারেন।
Advertisements | 5E For Success