উত্তরপূর্বে বিজেপির দায়িত্বে সম্বিত পাত্র
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এর মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।দলটার নাম বিজেপি। আর মাথায় বসে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই সবকিছুই হয় পেশাদারী ভঙ্গিতে। লোকসভা নির্বাচনের এখনো দু বছর বাকি। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে কি করবে ভেবে উঠতে পারছে না। সেখানে বিজেপি দশ কদম এগিয়ে। এখন থেকে শুরু হয়েছে লোকসভার প্রস্তুতি।
শিলচর ও করিমগঞ্জ আসনে প্রাথমিক একটা সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে বিজেপি। উত্তর পূর্বে দলের যাবতীয় প্রস্তুতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রাকে। টিভি বিতর্কে দক্ষ সম্বিতকে এবার দেখা যাবে উত্তর-পূর্ব দলের সংগঠনের দায়িত্বে। উত্তর-পূর্বের ২৪ টি আসনে এবার আলাদাভাবে দৃষ্টি দিচ্ছে বিজেপি। আর গতবারের আসনগুলো যাতে কোনভাবে না হারায় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।
তাই দলের প্রতি মানুষের মনোভাব কি সেটা যাচাই করতে সমীক্ষা চলছে। এর মধ্যে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে গুয়াহাটি শিলচর ও লখিমপুর আসনে। অবশ্য এটা নিতান্তই প্রাথমিক সমীক্ষা। শুধুমাত্র জনমত আচ করে নেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া বিজেপির সর্বভারতীয় স্তরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ,সেটাতে যে আসনগুলোতে দল গত বছর জয়ী হতে পারেনি সেই আসন গুলিতে বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দলের চাণক্য অমিত শাহ চাইছেন যে আসনগুলি পাওয়ার কথা নয় সেখান থেকে যদি ২০/২৫ টি আসন পাওয়া যায় তাহলে সেটা দলের জন্য বোনাস হবে।
এভাবে নির্দিষ্ট ছকে এগুচ্ছে দল। সম্বিত পাত্রাকে পাঠানো হয়েছে এ বিষয়গুলো যাতে ভালোভাবে কার্যকর করা যায় সেই উদ্দেশ্যে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি উত্তর-পূর্ব সফরে আসছেন। সম্ভবত শিলচরেও আসবেন।
এদিকে দলের এই গোপন সমীক্ষার খবর প্রথমে গোপন থাকলেও পরে সেটা অনেকেই জেনে গেছে ন।
এ ধরনের সমীক্ষা সাধারণত বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো হয়। যাতে প্রকৃত চিত্রটা বেরিয়ে আসে সেই চেষ্টাই করা হয়। এরা চুপচাপ তাদের কাজ করে চলে যান।শিলচর ও করিমগঞ্জের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির মতামত নেওয়া হয় ফোনে।
অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে একটা জনমতের সমীক্ষা করে নেওয়া হলো। এ ধরনের আরো কয়েক দফা সমীক্ষা চলবে। অনেকের ধারণা অমুকের বা তমুকের পছন্দ হলেই টিকিট পাওয়া যাবে এটা ভুল কথা। আসল কথা হল সমীক্ষা ১ থেকে ৩ এর ভিতরে থাকতে হবে না হলে নামই বিবেচিত হবে না। তবে এটা ঠিক এই সমীক্ষার মাধ্যমে সেই শিলচরে লোকসভা নির্বাচনের একটা প্রাক মহড়া কিন্তু শুরু হয়ে গেল।
কারণ বিজেপি দলে এ ধরনের সমীক্ষার গুরুত্ব বেশি। কারা কারা কোন সময় সমীক্ষা করে যাচ্ছে সেটা স্থানীয় নেতারা টেরই পান্না।এই আসনে যারা মনে মনে দাবিদার তারা এখন অনেকটাই নড়েচড়ে বসেছেন। কারণ আগামীতে বিজেপির রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন আসবে। হয়তো অপ্রত্যাশিত কারো ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে পারে। এমন আশা করতে তো আর দোষ নেই।এছাড়া অমিত সাহর মত ব্যক্তি কোন সময় কি করে বসেন সেটা বোঝা মুশকিল।
পুরোদস্তুর পেশাদার দল হিসাবে বিজেপি এভাবেই কাজ করে। সারাদেশে এভাবে প্রাথমিক একটা সমীক্ষা করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে অন্য দলগুলো কোন কাজই শুরু করতে পারেনি। ঘর গোছানোর যে একটা প্রক্রিয়া এটা বিজেপি আগেই সেরে ফেলছে। এছাড়া সাংগঠনিকভাবে বুথ পর্যায়ের সংগঠনকে মজবুত করার কাজ চলছে। অনেকেরই ধারণা শুধুমাত্র হিন্দুত্বের উপর ভর করে বিজেপি জিতে আসে। কিন্তু বুথ পর্যায়ে বিজেপি সংগঠনকে কতটুকু শক্তিশালী করছে সেটা অনেকে খেয়াল রাখেন না।
এর পাশাপাশি চলছে দল সম্পর্কে মানুষের মনোভাব কি সেটা জানার একটা প্রচেষ্টা। সব মিলি য়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট কারা পাবেন এর অনেকটাই নির্ভর করছে এসব সমীক্ষার উপর। তাই এই নিয়ে দলের অন।অন্দরমহলে চলছে জল্পনা।
Promotional