বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত, নতুন ১৫ নিযুক্তি – হাইকোর্টে যাবেন বদলি কর্মচারীরা
শিলচর: শিলচর স্কুল পরিদর্শকের অফিসে একসঙ্গে ছয় জনকে বদলি করা হয়েছে। একমাত্র বড়বাবু ও এক কর্মী ছাড়া বাকিদের বদলি করে দেওয়া হয়েছে। আজ কাছাড়ের জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা একটি আদেশ জারি করে এই ছয়জনকে বদলি করেছেন। এই বদলির আদেশ চ্যালেঞ্জ জানাতে হাইকোর্টে যাচ্ছেন কর্মচারীরা ।কারণ তাদের বক্তব্য জেলাশাসক এভাবে বদলি করতে পারেন না। এইসব করনিকের বদলি করার এক্তিয়ার জেলা শাসকের নেই বলে তারা মনে করে ন।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে এইসব করনিকদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গোপন নথিপত্র ফাস করা ,যে কোন কাজের বিনিময়ে ঘুষ চাওয়ার নানা অভিযোগ ছিল। সম্ভবত এই সব অভিযোগের জন্যই জেলাশাসক এত কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকেই। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় স্কুল পরিদর্শক অফিস।
কাছাড় স্কুল পরিদর্শক অফিসে সম্প্রতি ১৫ জন নতুন নিযুক্তি পেয়েছেন। এদের মধ্যে অবশ্য ৩-৪ জন বাদ দিলে বাকিরা বাইরে। এদের নিযুক্তির পরে পুরনো এই ছয় কর্মচারীকে বদলি করে দেওয়া হলো। যদিও এই ছয় জন বদলি হওয়ায় অনেক শিক্ষক খুশি। কারণ পুরনো হওয়ার সুবাদে এরা অনেক ক্ষেত্রেই বিপদে ফেলতেন শিক্ষকদের।
এমন অভিযোগ উঠছে। জেলার শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে জড়িত অনেকেই বলছেন কাছাড়ের স্কুল পরিদর্শক অফিসে দীর্ঘদিনের যে একটা দুর্নীতির চক্র গড়ে উঠেছিল ।সেটা এবার ভেঙ্গে গেল। তবে কথা হল জেলাশাসক এ ধরনের নির্দেশ জারি করতে পারেন কিনা এই প্রশ্নটা কিন্তু গেল। সম্প্রতি জিপি সচিবদের বদলি করা নিয়ে জেলা শাসকদের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানানো হায়েছিল। তাই স্বভাবতই এই নির্দেশ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
একই সঙ্গে একটি নির্দেশে প্রায় পুরো অফিসকে খালি করে দেওয়া হল! এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কর্মচারী মহলে জেলাশাসকের এই কাজ করার ক্ষমতা আছে কিনা এটা তো আদালতে বিচার হবে। কিন্তু এটা ঘটনা যে প্রথম কাছাড়ের স্কুল পরিদর্শক অফিসে এত বড়সড় বদলির ঘটনা ঘট ল। জেলাশাসক যেহেতু নিযুক্তি কর্তৃপক্ষ নন তাই তিনি কিভাবে বদলি করতে পারেন এটাই হল বক্তব্য। এখানে জনস্বার্থে কথাটা উল্লেখ করেছেন কর্তপক্ষ।
তাই এটা এখন যদি আদালতে যায় তবে বিচারাধীন বিষয় হবে। কিন্তু এর আগে জেলাশাসকের নির্দেশই কার্যকর হবে। স্কুল পরিদর্শক অফিসে এ ধরনের নির্দেশের পদক্ষেপকে আবার অনেকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এটা একটা বৈপ্লবিক পদক্ষেপ ও মনে করছেন অনেকে। স্কুল পরিদর্শক অফিসে দীর্ঘদিনের মৌরসি পাট্টার অবসান ঘটায় কারা খুশি সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তবে স্কুল পরিদর্শক অফিসের মত একটি করনিক প্রভাবিত কার্যালয়ে এই ঘটনা রীতিমতো চমক সৃষ্টি করেছে শহর জুড়ে। বিশেষ করে কর্মচারী মহলে। তবে আগামীতে আদালত কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। কারণ কর্মচারী মহলের অনেকেই এই বিষয়টাকে মেনে নিচ্ছেন না। তারা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এটা হলে আদালতক কি রায় দেয় সেটার উপরে সবকিছু নির্ভর করছে।